নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বাংলাদেশি–আমেরিকান কমিউনিটির দীর্ঘদিনের পরিচিত মুখ জামাল হোসেন আসন্ন অ্যাসেম্বলি–৮৭ এর প্রাইমারি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন। আঠারো বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি প্রবাসী সমাজের সুখ–দুঃখ, আনন্দ–বেদনা, সংকট–সাধনা ও নানা সামাজিক কর্মকাণ্ডে নিবেদিতভাবে যুক্ত ছিলেন। এবার সেই অভিজ্ঞতা ও জনগণের আস্থা নিয়ে তিনি নির্বাচনী ময়দানে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ফেসবুকে দেওয়া এক আবেগঘন পোস্টে তিনি লেখেন,
Assembly–87 এর বাঙালি ও বাংলাদেশি কমিউনিটি আমার ভরসার জায়গা। তাই আমি মনস্থির করেছি আগামী প্রাইমারি নির্বাচনে অংশ নেবো, যদি আপনারা দল–বল, ধর্ম–বর্ণ নির্বিশেষে আমাকে শক্তি, সাহস ও সমর্থন দেন।
কমিউনিটির নানা কার্যক্রমে সক্রিয় উপস্থিতির কারণে জামাল হোসেন ইতিমধ্যেই বাংলাদেশি–আমেরিকানদের কাছে সুপরিচিত। বিশেষ করে নবীন প্রজন্মকে নেতৃত্বে এগিয়ে আনার প্রচেষ্টা এবং অভিবাসী সমাজের স্বার্থরক্ষায় তার ভূমিকা ইতিবাচক আলোচনায় রয়েছে। তবে নির্বাচনে সফল হতে হলে তাঁকে শুধু বাংলাদেশি কমিউনিটিই নয়, বরং বহুজাতিক ও বহুসাংস্কৃতিক ভোটারদের কাছ থেকেও সমর্থন অর্জন করতে হবে,যা একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
তার ঘোষণার পর প্রবাসী সমাজে নানাভাবে আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকে এটিকে প্রবাসী বাঙালিদের রাজনৈতিক অগ্রযাত্রার একটি নতুন দিগন্ত হিসেবে দেখছেন। কেউ কেউ বলছেন, জামাল হোসেনের দীর্ঘদিনের নিবেদিতপ্রাণ কর্মকাণ্ডই তাকে নেতৃত্বের আসনে নিয়ে আসতে পারে। অন্যদিকে অনেকে মনে করছেন, নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে কঠিন, তবে কমিউনিটির ঐক্যবদ্ধ সমর্থনই হতে পারে তার মূল শক্তি।
নিজের পোস্টে জামাল হোসেন শেষ করেছেন আবেগঘন বার্তায়—
আপনাদের ছিলাম, আপনাদের আছি এবং আপনাদেরই থাকবো ইনশাআল্লাহ।
জামাল হোসেনের শিকড় বাংলাদেশের হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলায়। তাঁর গ্রামের নাম প্রজাতপুর, ডাকঘর ইনাতগঞ্জ। সেখান থেকেই তিনি শিক্ষা ও প্রেরণার প্রথম পাঠ নিয়ে আজকের অবস্থানে পৌঁছেছেন।
Leave a Reply