আইনজীবীদের সরি বললেন ব্যারিষ্টার সুমন

ডেস্ক রিপোর্ট ::আদালতে আইনজীবীদের সরি বলে দুঃখ প্রকাশ করেছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও আইনজীবী ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন।

মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) রিমান্ড শুনানি শেষে এ দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।

৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের আদেশ শেষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকীকে উদ্দেশ্য করে তিনি কথা বলতে চাইলে ফারুকী কোনও কথা বলতে রাজি হননি। তিনি চেহারা ঘুরিয়ে হাত নেড়ে ইগনোর করেন।

এ সময় ব্যারিস্টার সুমন বলেন, আপনার সঙ্গে আলাদা করে কিছু বলবো না স্যার। আপনার মাধ্যমে সব আইনজীবীর কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি। আমি খুব সরি স্যার।

ওমর ফারুক ফারুকী শুনানিতে বলেন, ‘আসামি ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন ৫ আগস্টের পর মানুষকে বুঝিয়েছে সে লন্ডনে রয়েছে। অথচ সে তার বোনের বাসায় আত্মগোপনে ছিল। কিছু মানুষ আছে, যারা প্রকৃতপক্ষে রাজনীতি করে না। তারা ভেলকি দিয়ে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে। সে নিজেকে সেলফি এমপি হিসেবে দাবি করে। সে চুনারুঘাটে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। নির্বাচনি এলাকায় কয়েকটা কালভার্ট দেখিয়ে সে অনেক প্রতারণা করেছে। ফেসবুকে এসব দিয়ে ম্যানুফ্যাকচারিং করে সে প্রতারণা করতো। নামের সামনে ব্যারিস্টার শব্দ থাকায় মানুষ তার প্রতারণা ধরতে পারে না। কোটা আন্দোলনে সে হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে সংবাদ সম্মেলন করে ফ্যাসিবাদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। সে সেখানে বলেছে, কেউ নাই হাসিনা সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে। এমন কৃতকর্ম করেছে, যার জন্য তার পালিয়ে থাকতে হয়েছে। তার চতুরতার একটা নমুনা, গ্রেফতারের আগে ভিডিও বার্তা দিয়ে মানুষকে জানাচ্ছে সে নিজেই ধরা দিয়েছে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিরুদ্ধে তার সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল। মামলার বাদীকে হত্যার উদ্দেশ্য গুলি করা হয়েছে। দীর্ঘ দিন বাদী হৃদয় পঙ্গু হসপিটালে ছিলেন। এ বাংলাদেশে সুমনদের মতো প্রতারক ও খুনি যেন আর না আসে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সুমনের গুলি করার রেকর্ড আছে। তার সঙ্গে জড়িত অনেক আসামির তথ্য সে জানে। তার কাছ থেকে গুলি ও আসামিদের তথ্য জানার জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করছি।’

এরপর আসামি পক্ষের আইনজীবী বলেন, ‘এ মামলার সঙ্গে সুমনের কোনও সংশ্লিষ্টতা নেই। সংশ্লিষ্টতার কোনও তথ্যও নেই। ব্যক্তিগত প্রতিহিংসার কারণে তাকে এ মামলায় জড়িত করা হয়েছে। আমরা রিমান্ড বাতিল করে জামিনের দাবি জানাচ্ছি।’

এর আগে সোমবার (২১ অক্টোবর) দিবাগত রাতে মিরপুর থেকে ব্যারিস্টার সুমনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। যুবদল নেতা ও মিরপুরের বাঙালিয়ানা ভোজের সহকারী বাবুর্চি হৃদয় মিয়াকে হত্যাচেষ্টা মামলায় তকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।

সূত্র : বাংলা ট্রিবিউন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ জাতীয় আরো খবর..

ফেসবুকে আমরা