ডেস্ক নিউজ:; আজ শনিবার পবিত্র ঈদুল আজহা। ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হওয়ার দিন। ত্যাগের মহিমায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা আজ সকালে ঈদের নামাজ শেষে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি আদায়ে পশু কোরবানি দেবেন।কিন্তু চলমান করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও বন্যার কারণে ঈদ আনন্দ অনেকটাই ম্লান। দেশের মসজিদগুলোতেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবাইকে ঈদের নামাজ পড়তে হবে।
এবার ঈদে ছুটি তিন দিন ঘোষণা করেছে সরকার। ঈদ উপলক্ষে শুক্রবার ৩১ জুলাই, ১ আগস্ট শনিবার ঈদের দিন এবং ২ আগস্ট রবিবার ছুটি থাকবে। মহামারির কারণে এবারের ঈদের ছুটির সময় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাধ্যতামূলক কর্মস্থলে থাকতে হবে। তারা কর্মস্থল ত্যাগ করতে পারবেন না।
সিরিয়া ও মিশর ঘুরে তিনি ফিলিস্তিনে গিয়ে ইসলাম প্রচার করতে লাগলেন। ইবরাহিম (আ)- এক রাতে স্বপ্নযোগে তিনি আল্লাহর এক আদেশ পেলেন। তাঁকে প্রিয়বস্তু কুরবানি করার নির্দেশ দেয়া হলো। এই আদেশ পেয়ে ইবরাহিম (আ) একশত দুম্বা কুরবানি করে দিলেন। পরের রাতে একই স্বপ্ন দেখলেন। এবারও আল্লাহর নবী আরো একশত উট কুরবানি করলেন। তাতেও কাজ হলো না। আবার নির্দেশ এলো, তুমি তোমার প্রিয় বস্তুকে কুরবানি কর।
এই নিদের্শের মর্ম বুঝতে হজরত ইবাাহিম (আ)-এর বাকি রইল না। ইসমাইল (আ) তাঁর প্রিয়পুত্র। তিনি বুঝতে পারলেন, প্রিয়পুত্র ইসমাইলকে কুরবানি করা ছাড়া গতি নেই। তাই ইবরাহিম (আ) ইসমাইলকে কুরবানি করার জন্য মনস্থির করলেন। তিনি পুত্রকে ডেকে তাঁর স্বপ্নের কথা খুলে বললেন। পিতা ইসমাইল (আ)-এর মতামত জানতে চাইলেন। বালক ইসমাইল (আ) পিতার কথা শুনে অবাক হলেন না। তিনি আল্লাহর খুশির জন্য নিজে কুরবানি হতে রাজি হয়ে গেলেন। ইসমাইল (আ) পিতাকে বললেন, হে পিতা! আপনি যে আদেশ পেয়েছেন তা বাস্তবায়ন করুন। ইনশাআল্লাহ আমাকে আপনি ধৈর্যশীল পাবেন।
হজরত ইবরাহিম (আ) প্রিয়পুত্রকে কুরবানি করার জন্য একদিন রওয়ানা করলেন। মিনা প্রান্তরে গিয়ে চোখ বেঁধে ইবরাহিম (আ) পুত্রের গলায় ছুরি চালালেন। কিন্তু প্রথম চেষ্টায় ইবরাহিম (আ) ব্যর্থ হলেন। ইসমাইল (আ)-এর পরামর্শে ইবরাহিম (আ) পুত্রকে উপুড় করে চোখ বন্ধ করে আবার ছুরি চালালেন। মহান আল্লাহর কি শান! চোখ খুলেই ইবরাহিম (আ) দেখতে পেলেন একটি দুম্বা জবেহ হয়ে পড়ে আছে। আর পাশেই দাঁড়িয়ে আছেন প্রাণাধিক পুত্র ইসমাইল (আ)।
এটা ছিল মহান আল্লাহ তায়ালার প্রতি ইবরাহিম (আ)-এর ত্যাগ ও ভালোবাসার পরম নিদর্শন। ইবরাহিম (আ)-এর এই কুরবানির কারণে আল্লাহ অত্যন্ত খুশি হলেন। এই ঘটনার মাধ্যমে ইবরাহিম (আ) ‘খলিলুল্লাহ’ উপাধিতে ভূষিত হলেন। হজরত ইবরাহিম (আ) এর এই ঘটনাকে চির জাগরুক রাখার জন্য মহান আল্লাহ সচ্ছল মুসলমানদের জন্য প্রতি বছর ১০ জিলহজ থেকে ১২ জিলহজ পর্যন্ত হালাল পশু কুরবানি ওয়াজিব করা হয়েছে।
সেই ঐতিহাসিক ঘটনার স্মৃতি ধারণ করেই ইব্রাহিম (আ.)-এর ওয়াজিব হিসেবে পশু জবাইয়ের মধ্য দিয়ে কোরবানির বিধান এসেছে ইসলামি শরিয়তে। সেই মোতাবেক প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলমানের জন্য পশু কোরবানি করা ওয়াজিব।
Leave a Reply