ডেস্ক রিপোর্ট ::
শারদীয় দুর্গাপূজার আজ মহানবমী (চতুর্থ দিন)। যা হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। এদিন সন্ধ্যায় দেবীদুর্গার ‘মহা আরতি’ করা হয়। মহানবমীতে বলিদান ও নবমী হোমের রীতি রয়েছে এবং সন্ধ্যায় মহা আরতি-এর মতো আচার-অনুষ্ঠান পালন করা হয়। মূলত ‘সন্ধিপূজা’ শেষ হলে শুরু হয় মহানবমী। ১০৮টি নীলপদ্মে পূজা হবে দেবীদুর্গার। পূজা শেষে যথারীতি থাকবে অঞ্জলি নিবেদন ও প্রসাদ বিতরণ। মন্ডপে মন্ডপে প্রাণের উৎসবে ভক্তদের মধ্যে বইবে বিষাদের সুর। নবমী দিন সবচেয়ে বেশি ভিড় হয়ে থাকে মন্ডপে। বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে শেষ হবে শারদীয় দুর্গোৎসব।
হিন্দুশাস্ত্র মতে, দুর্গা রুদ্ররূপ (মা কালী) ধারণ করে মহিষাসুর এবং তার তিন যোদ্ধা চন্ড, মুন্ড এবং রক্তবিজকে হত্যা করেন। নবমী তিথি শুরুই হয় সন্ধিপূজা দিয়ে। সন্ধিপূজা হয় অষ্টমী তিথির শেষ ২৪ মিনিট ও নবমীর সূচনার প্রথম ২৪ মিনিট জুড়ে। মূলত দেবী চামুন্ডার পূজা হয় এই সময়ে। ১০৮টি মাটির প্রদীপ জ্বালিয়ে ও ১০৮টি পদ্মফুল নিবেদন করা হয় দেবীর চরণে। নৈবেদ্যয় দেওয়া হয় লাল ফল, জবা ফুল, শাড়ি, সাদা চাল, বেলপাতা ইত্যাদি। সন্ধি পূজায় দেবী দুর্গাকে পূজা করা হয় চামুণ্ডা রূপে। সন্ধি পূজার সময়েই দেবী মহামায়া মৃন্ময়ী মূর্তি থেকে চিন্ময়ী রূপে আসেন ও ভক্তের পূজা গ্রহণ করেন। অনেক জায়গায় এই সন্ধিপূজার সময় বলি দেওয়ার প্রথা আছে। শাস্ত্র মতে, সংযমী হয়ে উপবাসী থেকে সন্ধিব্রত পালন করলে যমদুখ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আর ঠিক এই কারণে পূজার মন্ত্রেও সেই বিশেষত্ব উল্লেখ করা হয়েছে।
রবিবার মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া শারদীয় এ দুর্গোৎসবের বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে।
নবীগঞ্জে ৯৩ টি পূজা মন্ডপে গতকাল পুণ্যার্থী, ভক্ত ও দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় ছিল। ভক্তদের আবেগ ও হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসায় পূজা হচ্ছে।
Leave a Reply