এলাকাবাসী ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, শাহাব উদ্দিনের বাড়ি বড়লেখা পৌর শহরের পাখিয়ালা এলাকায়। তিনি বড়লেখা উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি। শাহাব উদ্দিন ১৯৮৪ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত পর পর তিনবার বড়লেখা সদর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন।
১৯৯৬ সালের সংসদ নির্বাচনে মৌলভীবাজার-১ আসনে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে তিনি প্রথম সাংসদ নির্বাচিত হন। এরপর ২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী সাবেক প্রতিমন্ত্রী এবাদুর রহমান চৌধুরীর কাছে হেরে যান।
পরবর্তী সময় ২০০৮ ও ২০১৪ সালে সংসদ নির্বাচনে জয়ী হন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে জেতার পর জাতীয় সংসদের হুইপের দায়িত্ব পান। একাদশ সংসদ নির্বাচনে মৌলভীবাজার-১ আসনে তিনি দলের একক প্রার্থী ছিলেন। এ নির্বাচনে ১ লাখ ৪৪ হাজার ৫৯৫ ভোট পেয়ে জয়ী হন। আর তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সহসভাপতি নাসির উদ্দিন আহমেদ ৬৭ হাজার ৩৪৫ ভোট পান। দুজনের ভোটের ব্যবধান ৭৭ হাজার ২৫০।
মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, ‘আমার নির্বাচনী এলাকার মানুষের দাবি ছিল, একজন পূর্ণ মন্ত্রীর। আমার নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সে আকাঙ্ক্ষা পূরণ করেছেন। আমি যেন সঠিকভাবে এ দায়িত্ব পালন করতে পারি সে জন্য সবার সহযোগিতা চাই।’
বড়লেখা পৌরসভার মেয়র উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল ইমাম মো. কামরান চৌধুরী বলেন, শাহাব উদ্দিনকে দলের নেতা-কর্মী ছাড়াও সর্বস্তরের মানুষ ভীষণ ভালোবাসেন। এলাকার উন্নয়নে নিরলস শ্রম দেন। এ কারণেই ইউপি চেয়ারম্যান থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়ে মন্ত্রী হলেন।
একাদশ সংসদ নির্বাচনে দেশের বিভিন্ন আসনে দলের একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী থাকলেও মৌলভীবাজার-১ আসনে তিনি ছাড়া দলের আর কেউ মনোনয়ন চাননি। বড়লেখা ও জুড়ী উপজেলায় আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা তাঁকে পূর্ণমন্ত্রী করার দাবি জানিয়েছিলেন ।
Leave a Reply