নিজস্ব সংবাদদাতা::নবীগঞ্জের প্রবাসী অধ্যুশিত জনবহুল ইনাগঞ্জ পূর্ব-বাজারের প্রধান সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় ছাত্র ছাত্রী, ক্রেতা বিক্রেতা সহ যানবাহন চলাচলে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।ব্যস্ততম এই সড়কটিতে প্রতিদিন বাস, ট্রাক, টলি সহ ছোট বড় অসংখ্য যানবাহন চলাচল করায় ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
বিশেষ করে বর্ষার মৌসুমে এসব সৃষ্ট গর্তে বৃষ্টির পানি জমে থাকার কারনে প্রতিদিন দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়েই এ সড়ক পথে যানবাহন চলাচল করে। বাজারের সড়কটির এই করুণ অবস্থা এলাকার জনপ্রতিনিধি সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরে আসলেও সংস্কারের কোন প্রকার উদ্যোগ নেয়া হয়নি। প্রাচীনকাল থেকেই দৈনন্দিন কেনাকাটার জন্য হবিগঞ্জের ইনাতগঞ্জ বাজারের ঐতিয্যর উল্লেখযোগ্য সুনাম দেশব্যাপী ছড়িয়ে আছে।
যার ফলে বাজারটিতে প্রতিদিন দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ক্রেতা বিক্রেতাদের ব্যাপক সমাগম ঘটে। কিন্ত প্রধান সড়কটির বেহাল অবস্থার কারনে আগত ক্রেতা সাধারণের ক্ষোভের যেন শেষ নেই। ইনাতগঞ্জ ও দীঘলবাক ইউনিয়নের জনসাধারণ সহ পার্শ্ববর্তী জাগন্নাথপুর উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের ১৬ টি গ্রামের পাঁচ শতাধিক ছাত্র/ছাত্রী সহ হাজার হাজার মানুষ প্রাচীন এই জনবহুল ইনাতগঞ্জ বাজারটিতে আসেন। পূর্ব-বাজারের রাস্তা দিয়েই উপরোক্ত এলাকার জনসাধারণ সহ জগন্নাথপুরের রানীগঞ্জ পর্যন্ত যানবাহন চলাচল করে আসছে।
ইনাতগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী রফিক মিয়া বলেন,দীর্ঘ ২বছর ধরে ইনাতগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ীর সামন থেকে ইনাতগঞ্জ বাজার মদিনা মার্কেট পর্যন্ত রাস্তাটি ভেঙ্গে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। অথচ দেখার যেন কেউ নেই। তিনি দ্রুত রাস্তাটি সংস্কারের দাবী জানান।
ব্যবসায়ী মোস্তফা মিয়া বলেন,নির্বাচন এলে অনেকেই উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্ত ইনাতগঞ্জ বাজারের প্রবেশ মুখে ভাঙা রাস্তাটি এখন কোন জনপ্রতিনিধিরই চোখে পড়েনা। মানুষ অসহনীয় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
ইনাতগঞ্জ আওয়ামীলীগ নেতা দিলদার হোসেন বলেন,মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। কিন্ত ইনাতগঞ্জ বাজারের এই রাস্তাটি দেখলে মনে হয় এ এলাকায় কোন উন্নয়নই হয়নি। তিনি গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানান।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইনাতগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বজলুর রশীদ বলেন,এই রাস্তার বিষয়ে আমি উপজেলা আইনশৃংখলা কমিটির সভায় জোড়ালো বক্তব্য রেখেছি। আশা করি খুব দ্রুত সংস্কার কাজ শুরু হবে।
Leave a Reply