নিজামুল ইসলাম চৌধুরী : নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী লন্ডন প্রবাসী ছায়েদ উদ্দিন জায়দুল মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন।
আজ সোমবার বিকেলে তিনি নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার নিকট মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন।
গত ২০১৬ সালে ইনাতগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ২৫০ ভোটের ব্যবধানে তিনি পরজিত হন।
তিনি নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের ইছবপুর গ্রামের প্রয়াত বারবার নির্বাচিত ইউপি সদস্য লন্ডন প্রবাসী মৃত ইয়াফর উল্লার পুত্র।
ছায়েদ উদ্দিন জায়দুলের সমর্থকরা জানান,তার পিতা ইয়াফর উল্লা যখন নির্বাচনে অংশ নিয়ে ছিলেন তখন কেন্দ্রে গোলমাল হওয়ার কারনে নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়। পরবর্তীতে স্থগিত হওয়া নির্বাচন যখন অনুষ্ঠিত হয় তখন ইয়াফর উল্লা লন্ডনে ছিলেন। লন্ডন থাকাবস্থায়ই এলাকার জনসাধারণ তাকে ভালবেসে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করেন।
তাছাড়া তাহার দাদা মৃত ইকরাম উল্লাও ছিলেন স্বাধীনতার পূর্বে এলাকার নির্বাচিত ইউপি সদস্য। পরবর্তীতে তার চাচা মৃত ইলাক উদ্দিন ও মেম্বার ছিলেন।
তারা জানান,চেয়ারম্যান প্রার্থী ছায়েদ উদ্দিন জায়দুলের পূর্ব পুরুষরা ছিলেন এলাকার জনপ্রতিনিধি। সে হিসেবে গত নির্বাচনে আমরা তাকে দলমত নির্বিশেষে ভোট দিয়েছি। অল্প ভোটের ব্যবধানে তিনি পরাজিত হয়েছেন। এবারও আমরা দলমত নির্বিশেষে তাকে ভোট দিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করবো ইনশাআল্লাহ।
তারা আরো জানান,ছায়েদ উদ্দিন জায়দুলের এলাকায় রয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা। তিনি প্রবাসে অবস্থান করলেও দেশের প্রতি রয়েছে তার নারীর টান। দেশে যে কোন দুর্যোগ মুহুর্তে মানুষের পাশে দাড়ান। নম্র ভদ্র হিসেবে তিনি প্রতিটি মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। এমন মানুষকেই আমরা ইউনিয়নের অবিভাবক হিসেবে দেখতে চাই।
চেয়ারম্যান প্রার্থী ছায়েদ উদ্দিন জায়দুল বলেন,আমি ইউনিয়নবাসীর ভালোবাসায় শিক্ত। ইউনিয়নের প্রতিটি মানুষের সাথে আমার রয়েছে মনের এবং ভালোবাসার সম্পর্ক। সেই ভালোবাসার টানেই তারা আমাকে গত নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন। অল্প ভোটের ব্যবধানে আমি পরাজিত হয়েছি। আমি জনগণের রিন কোন দিন শোধ করতে পারবনা। তবে এটুকু বলতে পারি সুখে দুখে আমি তাদের পাশে আছি এবং থাকবো।
তিনি ২৮ নভেম্বর নির্বাচনে তাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করার জন্য ইউনিয়নবাসীর প্রতি বিনীত অনুরোধ করেন।
তিনি বলেন আমার চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই। মানুষ চিরকাল বেচে থাকেনা। আমরাও এ পৃথিবীতে একদিন থাকবোনা। তবে এমন কিছু কাজ করে যেথে চাই যেন মরে গেলেও মানুষ মনে রাখে।
ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নকে একটি মডেল ইউনিয়নে বাস্তবায়ন করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে শুধু একবার এই সুযোগটা দেয়ার জন্য তিনি ভোটারদের প্রতি আকুল আবেদন জানান।
Leave a Reply