472,0,9400,1960,978,66,1105,79,96,230,21275,0

ইনাতগঞ্জ বাজার পরিচালনা কমিটির নির্বাচন সম্পন্ন॥ ফলাফল স্থগিত

সংবাদদাতা:: বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ বাজার পরিচালনা কমিটির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন শনিবার (২৮এপ্রিল) সম্পন্ন হলেও ভোট গণণার সময় সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ভোট গণণার গরমিলের কারনে বিক্ষোভের মুখে ফলাফল ঘোষণা করতে পারেননি নির্বাচন কমিশন। খবর পেয়ে সন্ধায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদ-বিন হাসান ইনাতগঞ্জ ভোট কেন্দ্রে এসে প্রার্থীদের সাথে কথা বলে তাদের মতামতের ভিত্তিতে ভোটের ফলাফর স্থগিত ঘোষণা করেন।

শনিবার সকালে সরেজমিনে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়,ঘড়ি ৮টা বাজার আগেই ব্যবসায়ী ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে আসতে থাকেন। সকাল ৮টা থেকে একটানা শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ চলে। নির্বাচনে প্রিজাইডিং কর্মকর্তকর্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্ত মো: মনিরুল ইসলাম। সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ছিলেন, নজরুল ইসলাম ও হাবিবুর রহমান।

নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালন করেন কন্ঠাক্টার আজিজুর রহমান,সাবেক চেয়ারম্যান মাসুদ আহমদ জিহাদী ও আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল মালিক। আইনশংখলার দায়িত্বে ছিলেন,ইনাতগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ীর পুলিশ পরিদর্শক সামছুদ্দিন খাঁন,এস আই হাবিবুর,এ এসআই সুহেল দেব,এ এসআই বিশ্বজিৎসহ একদল পুলিশ।

নির্বাচনে মোট ৪৭৮ ভোটের মধ্যে ৪৭৪ ভোট কাষ্ট হয়। নির্বাচনে ৬টি পদের জন্য ১৫জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। বিকেল ৪টার পর ভোট গ্রহণ শেষে শুরু হয় গণণা। গণণায় দেখা যায় সাংগঠনিক সম্পাদক প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম(মাছ),প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী সাজ্জাদুর রহমান (ফুটবল) এর চেয়ে ৯ভোট বেশী পেয়েছেন। এ খবরটি সাথে সাথে জাহাঙ্গীর আলমের এজেন্টের মাধ্যমে বাইওে চলে আসলে জাহাঙ্গীরকে নিয়ে তার সমর্থরা বিজয় মিছিল করেন। পরে পূনরায় গণণা করলে দেখা যায়,জাহাঙ্গীরের চেয়ে সাজ্জাদুর (ফুটবল) ৯ ভোট বেশী পেয়েছেন।

এ খবরটিও ভেতর থেকে তার এজেন্টের মাধ্যমে বাইওে চলে আসে। ফলে সাজ্জাদুর ও বিজয় মিছিল করে। এ নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হলে কয়েকজন প্রার্থীর শত শত সমর্থক বিক্ষোভ মিছিল করেন। এ সময় ইনাতগঞ্জ বাজার উত্তপ্ত হয়ে উঠে।

ব্যবসায়ীরা দোকান পাঠ বন্ধ করে দিগ্বিদ্বিগ ছুটাছুটি করেন। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদ-বিন হাসান,নবীগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত হাবিবুর রহমানসহ একদল পুলিশ ইনাতগঞ্জ নির্বাচন কেন্দ্রে আসেন। এ সময় তিনি সকল প্রার্থীদের নিয়ে আলোচনায় বসেন।

প্রার্থীদের বক্তব্য শুনে তাদের মতামতের ভিত্তিতে ফলাফল স্থগিত রেখে আগামী সোমবার সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে পূনরায় ভোট গণণার সিদ্ধান্ত নেন। প্রার্থীরাও এতে সম্মতি দেন।

ভোট চলাকালীন নির্বাচন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি এডভোকেট আবুল ফজল,  নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের  চেয়ারম্যান এডভোকেট আলমগীর চৌধুরী,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদ-বিন হাসান,উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি,গজনাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমদাদুর রহমান মুকুল,দৈনিক সমকাল নবীগঞ্জ প্রতিনিধি এম এ আহমদ আজাদ,দৈনিক সিলেটের ডাক নবীগঞ্জ প্রতিনিধি রাকিল হোসেন প্রমূখ।

উল্লেখ্য,নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন পদে প্রার্থী ও তাদের সমর্থরা গত প্রায় ১মাস ধরে ব্যাপক প্রচার প্রচারনা চালান। সর্ব শেষ গত বৃহস্পতিবার প্রচারনার শেষ দিন তারা বিশাল শোডাউন করে প্রচারনার সমাপ্তি টানেন। নির্বাচনে যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তারা হলেন, সভাপতি পদে সাবেক সভাপতি সিরাজ উদ্দিন(ছাতা),সাবেক সভাপতি আমুন উদ্দিন(চেয়ার),সাবেক সাধারন সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দিলবার(হরিণ),শাহীন আলম ছাও মিয়া(আনারস)। সহসভাপতি পদে জামাল চেšধুরী(সিলিং ফ্যান)জামাল আহমদ সুমন(দেয়াল ঘড়ি)।

সাধারন সম্পাদক পদে সাবেক যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক আশাহীদ আলী আশা(দোয়াত কলম),সাবেক সাধারন সম্পাদক শুয়াইর রহমান(সাইকেল),নোমান আহমদ(চাকা)। যুগ্ন সাধারন সম্পাদক পদে শহীদুল ইসলাম ভুট্রো(মই),ইজাজুর রহমান (বাল্ব)।

সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম (মাছ),সাজ্জাদুর রহমান(ফুটবল)। কোষাদক্ষ আবু সায়েদ(তালা চাবি),শাহানুর রহমান(টিউবওয়েল)। এদিকে প্রচার সম্পাদক পদে অন্য কোন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল না করায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তারেক আহমদ নির্বাচিত হন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ জাতীয় আরো খবর..

ফেসবুকে আমরা