ডেস্ক নিউজ:: সামনের কাতারে থেকে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাওয়া চিকিৎসক, নার্সসহ অন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের দেশবাসীর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘পেশাটাই এ রকম চ্যালেঞ্জের। এই ক্রান্তিকালে মনোবল হারাবেন না। গোটা দেশবাসী আপনাদের পাশে রয়েছে।’সোমবার (১৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বাংলা নববর্ষ ১৪২৭ উপলক্ষে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘চিকিৎসক, নার্সসহ অন্য স্বাস্থ্যকর্মীগণ সম্পদের সীমাবদ্ধতা এবং মৃত্যু ঝুঁকি উপেক্ষা করে একেবারে সামনের কাতারে থেকে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছেন। আপনাদের পেশাটাই এ রকম চ্যালেঞ্জের। এই ক্রান্তিকালে মনোবল হারাবেন না। গোটা দেশবাসী আপনাদের পাশে রয়েছে। ’
দেশবাসীর পক্ষ থেকে চিকিৎসকদের সকলকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যেসব সরকারি স্বাস্থ্যকর্মী প্রত্যক্ষভাবে করোনা ভাইরাস রোগীদের নিয়ে কাজ করছেন ইতোমধ্যেই তাদের তালিকা তৈরির নির্দেশ দিয়েছি। তাদের বিশেষ সম্মানী দেওয়া হবে। এজন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে।’করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে দায়িত্বপালনরত সবার জন্য বিশেষ স্বাস্থ্য বীমা সুবিধা দেওয়া হবে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তা, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, সশস্ত্র বাহিনী ও বিজিবি সদস্য এবং প্রত্যক্ষভাবে নিয়োজিত প্রজাতন্ত্রের অন্য কর্মচারীর জন্য বিমার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’
স্বাস্থ্যবীমা ও জীবনবীমা বাবদ ৭৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দায়িত্ব পালনকালে যদি কেউ আক্রান্ত হন, তাহলে পদমর্যদা অনুযায়ী প্রত্যেকের জন্য থাকছে ৫ থেকে ১০ লাখ টাকার স্বাস্থ্যবিমা এবং মৃত্যুর ক্ষেত্রে এর পরিমাণ ৫ গুণ বৃদ্ধি পাবে। স্বাস্থ্যবিমা ও জীবনবিমা বাবদ বরাদ্দ রাখা হচ্ছে ৭৫০ কোটি টাকা।’সুরক্ষা সরঞ্জামের কোনো ঘাটতি নেই জানিয়ে সরকার প্রধান বলেন, ‘সুরক্ষা সরঞ্জামের কোনো ঘাটতি নেই। নিজেকে সুরক্ষিত রেখে স্বাস্থ্যকর্মীগণ সর্বোচ্চ সেবা দিয়ে যাবেন- এটাই দেশবাসীর প্রত্যাশা। একইসঙ্গে সাধারণ রোগীরা যাতে কোনভাবেই চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত না হন, সেদিকে নজর রাখার জন্য আমি প্রতিটি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানাচ্ছি।’
সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে নিয়োজিত পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যরা, সরকারি কর্মকর্তা, মিডিয়া কর্মী, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী আনা-নেওয়ার কাজে এবং মৃত ব্যক্তির দাফন ও সৎকারের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মীসহ জরুরি সেবা কাজে যারা নিয়োজিত সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।
Leave a Reply