সুমন আলী খাঁন ॥ এন্ড্রু কিশোরের অসমাপ্ত গানে কন্ঠ দিচ্ছেন বর্তমান সময়ের তরুণ তেজস্বী সংগীতশিল্পী পরান সুফি আহসান। বিগত ০৬ জুলাই (সোমবার) ৭টা ১৩ মিনিটের দিকে রাজশাহী মহানগরীর মহিষবাথান এলাকায় তার বোন ডাঃ শিখা বিশ্বাসের বাড়িতে ইহকাল ত্যাগ করে পরলোক গমন করেন দেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী এন্ড্রু কিশোর। তার বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর। দীর্ঘদিন ধরে ব্লাড ক্যান্সারে ভুগছিলেন আটবারের চলচ্চিত্র পুরষ্কারপ্রাপ্ত এই বরেন্য শিল্পী। যার কারণে ইচ্ছে থাকা সত্বেও আর নতুন গান গাওয়া সম্ভব হয়ে উঠেনি।
তবে, “একটা ঘরের ঠিকানা” শিরোনামে প্রখ্যাত গীতিকার-সুরকার ও সংগীত পরিচালক ইথুন বাবুর কথা ও সুরে একটি গান গাওয়ার কথা ছিলো এই সুরের জাদুকরের। কিন্তু প্রাণঘাতী ক্যান্সারের কারণে গাওয়া হয়ে উঠেনি আর। তাই এই গানটি তরুণ তেজস্বী সংগীতশিল্পী পরানের কণ্ঠেই গানটি রিজিল দিচ্ছেন গানটির কর্ণধার ইথুন বাবু।
তিনি বলেন, এন্ড্রু কিশোর দা’র এই গানটা গাইড ভয়েস দিয়েছিল পরান। দাদা (এন্ড্রু কিশোর) স্টুডিও’তে এসেও গানটি গাইতে পারেননি। তার কয়েকদিন পর থেকেই তিনি অসুস্থ হয়ে পরেন। পরের ইতিহাস সবারই জানা। দাদা সিঙ্গাপুর থেকে আমার সাথে ফোনে কথা বলার এক ফাঁকে বলেছিলেন, বাবু রে আমি যদি গানটা গাইতে না পারি, তুই কিন্তু পরান কে দিয়ে এই গানটা গাওয়াবি। তাই এই গানটিতে অভিভাবক গানের সম্রাট এন্ড্রু কিশোরকে মনে রেখে পরান তার গায়কীতে উৎসর্গ করতে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।
এছাড়াও ইথুন বাবু বলেন, দাদার (এন্ড্রু কিশোর) ফেলে যাওয়া অসমাপ্ত কাজগুলো শেষ করাই এখন আমার চিন্তা-চেতনা। যদি আমার উপর অর্পিত দাদার দেয়া দায়িত্বগুলো সঠিকভাবে পালন করতে পারি তবেই আমি নিজেকে ধন্য মনে করবো।
Leave a Reply