ওসমানীনগর(সিলেট)থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা::ওসমানীনগরের তাজপুর ডিগ্রি কলেজের এ্যাডহক কমিটির সদস্য নির্ধারণে স্থানীয় নেতৃবৃন্দদের না জানিয়ে গোপনে অধ্যক্ষের পছন্দের ব্যক্তির নাম বাচাই করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি প্রস্তাব প্রেরণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে স্থানীয় নেতৃবৃন্দরা কমিটি গঠনের পূর্বে কলেজ কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করলেও কলেজ অধ্যক্ষ কাউকে না জানিয়ে এ্যাডহক কমিটির সদস্য নির্বাচন করেন।
জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কমিটি বাতিল করেন। এরই প্রেক্ষিতে সম্প্রতি ওসমানীনগর উপজেলার তাজপুর ডিগ্রি কলেজের এ্যাডহক কমিটির সদস্য নির্বাচনের জন্য সিদ্ধান্ত আসে। এতে কলেজ অধ্যক্ষ কাউকে না জানিয়ে ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপমা দাস, বালাগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা ও একই কলেজের সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মনু মিয়া ও মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার বাসিন্দা ও একই কলেজের সাবেক অধ্যাপক ড. এস.এ মোতাকাব্বির এর নাম প্রস্তাবনা আকারে তৈরী করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রেরণ করেন। এভাবে গোপনে কাউকে না জানিয়ে কমিটির সদস্য বাচাই করার বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। স্থানীয় নেতৃবৃন্দরা কলেজ অধ্যক্ষের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি কমিটির সদস্য বাচাইয়ের বিষয়টি ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পরামর্শে হয়েছে বলে জানান।
ওসমানীনগর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ মিছবাহ বলেন, আমার সাথে এ ধরণের বিষয়ে কেউ যোগাযোগ করেনি। বিষয়টি আমার জানা নেই।
ওসমানীনগর উপজেলা জামায়াতের আমির মো. সোহরাব আলী বলেন, কলেজের কমিটির বিষয়ে অধ্যক্ষের উচিৎ ছিল আমাদের স্থানীয় এলাকার যোগ্য বাসিন্দাদের নিয়ে আলোচনা করে সদস্য বাচাই করা। এটি বাতিল করে পুনরায় কমিটি বাচাই করার আহ্বান জানাই।
তাজপুর ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ খায়রুল আবেদীন চৌধুরী বলেন, আমি কলেজে নতুন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব নিয়েছি। কমিটির সদস্য বাচাই আমার পূর্বের সদ্য সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রাণকান্ত দাস করে গেছেন।
সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রাণকান্ত দাস বলেন, আমি ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পরামর্শে কমিটি প্রেরণ করেছি।
ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপমা দাস বলেন, সাবেক অধ্যক্ষ কলেজ শিক্ষকদের বেতন ভাতা উত্তোলনের কথা বলে আমার নামসহ তিনজনের নামের একটি কমিটি পাঠিয়েছেন। বর্তমান অধ্যক্ষকে বলব বিষয়টি রিভিউ করার জন্য।
Leave a Reply