মুহাম্মদ হাবীবুল্লাহ হেলালী::
প্রাণঘাতী করোনা প্রাদুর্ভাবে স্থবির হয়ে পড়েছে পৃথিবী। রাত পোহালেই শোনা যায় দেশে দেশে মৃত্যুর মিছিল, প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। বিশ^ব্যাপিই এখন এই করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক শুরু হয়েছে। চীনের উহান থেকে এর উৎপত্তি হলেও এখন সারা বিশে^ ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস যার আরেক নাম কোভিড-১৯। ক্রমাগত আক্রান্ত হচ্ছে দেশের পর দেশ। ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে ইতালী, ফ্রান্স,স্পেন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বেশ কয়েকটি দেশ যেন মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। এশিয়া মহাদেশের দেশগুলোতেও মহামারী করোনার থাবা প্রসারিত করেছে। চীনের পর, ইরানসহ এপ্রিলের শুরুতেই মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতেও করোনা বেশ দাপুটে হয়ে ওঠেছে। এ ভাইরাস মোকাবেলায় ক্রমবর্ধমান বিশে^র অনেক দেশই হিমশিম খাচ্ছে। মহামারীর এ থাবায় অনেক উন্নত রাষ্ট্রগুলোও যেন অসহায় হয়ে পড়েছে।
সারা বিশ্বে আতঙ্ক সৃষ্টিকারী প্রাণঘাতী এই করোনাভাইরাস কোথায়, কতক্ষণ বেঁচে থাকে এবং এটি নির্মূলের উপায় কী তার ধারণা বিশ^ পরিমন্ডলের খোদ চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের কাছেও নেই। অধিকন্তু মরণব্যাধি করোনা নির্মূলের প্রতিষেধক/ওষুধ আজোবধি আবিস্কার করা সম্ভব হয়নি। তাই বোধ করি, বলা যায়, এই করোনার করুনা নেই। এর থেকে পরিত্রাণের উপায় কেবল আকাশে, এ ধরাধমের মালিকের হাতে। করোনার ছোঁয়াচে গোটা পৃথিবীর মানুষ এখন চরম সংকটাপন্ন অবস্থা কিংবা ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। একটা অনিশ্চিয়তার মধ্য দিয়ে দিনাতিপাত করছে মানবজাতি। ভয়ে আতঙ্কে হোম কোয়ারিন্টাইনে কয়েক সপ্তাহ ধরেই বাংলাদেশর মানুষও অবস্থান করছেন।
পৃথিবীর খ্যাতিমান পন্ডিতজনরা তো একে মহামারীর এক যুদ্ধ হিসেবেই আখ্যায়িত করেছেন। বলেছেন, তা হচ্ছে মহামারীর সঙ্গে মানুষের যুদ্ধ। বাঁচার জন্য করোনা মোকাবেলায় লড়াই হচ্ছে সর্বত্র। কিন্তু এ যুদ্ধে মানুষের জয়ী হবার মূল অস্ত্র প্রতিষেধক/ওষুধ এখনো আবিস্কার করা সম্ভব হচ্ছেনা। তবে কী বলবো, এ যুদ্ধে জয়, বিজয়ের সম্ভাবনা বেশি না কম তা নিশ্চিৎ করে ভাবাও মুশকিল। দীর্ঘ মেয়াদী প্রচেষ্ঠা/সচেতনতা, বৈশি^ক স্বাস্থ্যবিধি নির্দেশনা পালনের পরও আক্রান্তের সংখ্যা তো আর কমছেনা, বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও । সারা বিশ্বেই শোনা যাচ্ছে করোনা আক্রান্ত মানুষের অসহায়ত্বের আর্ত-চিৎকার।
করোনা এমনই এক জটিল ভাইরাস, যা মানব দেহে প্রবেশ করেই মূহুর্তেই সব কিছু লন্ডভন্ড করে দেয়। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে কিংবা মরেও রেহায় নেই। জীবিতদের মধ্যে বিরাজ করে অজানা উদ্বেগ-উৎকন্ঠা ও আতঙ্ক। মানুষ্যজনের মধ্যে ভয়-ভীতির কারণে নিতর দেহ পড়ে থাকে যত্রতত্র। ছোঁয়াচের ভয়ে কেউ কাছে আসেনা, এমন কী নিকটাত্মীয়ও না। কী এক করুন পরিস্থিতির মধ্যে ফেলে দিয়েছে মরার করোনা, তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে স্বজন কিংবা চিকিৎসকের দু’চোখ দিয়ে পানি ঝরানো ছাড়া কিছুই করার থাকেনা। খবরে প্রকাশ-কোনো এক দেশে করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় জনৈক ব্যক্তিকে গুলি করেই হত্যা করা হয়েছে। কতটা অমানবিক-নির্মমতা শিখিয়েছে করোনা তা যেন চিন্তা করাও কঠিন। ইউরোপের কোনো এক দেশে করোনায় আক্রান্ত হলে পরিবার, সমাজ ও দেশকে বাঁচাতে নিজেই আত্মহত্যা করে মৃত্যুর পথ বেঁচে নিয়েছেন।
সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের বাংলাদেশও ক্রমশ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সরকারি হিসেব মতে-আক্রান্তের সংখ্যা হাজার ছড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যা দাড়িয়েছে প্রায় ৪৬ জনে। শহর,বন্দর গ্রাম-গঞ্জের লোকজনের মধ্যে করোনা সংক্রমণ যেন এক আতঙ্কের নাম। দেশের সর্বত্রই এক ধরনের ভীতির সঞ্চার হয়েছে।
গেল মার্চ থেকে করোনা আমাদের দেশে হানা দেয়। প্রথম দিকে ব্যাপকহারে আক্রান্ত না হলেও ক্রমাগত বাড়তে থাকে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। কয়েকদিনের মধ্যে মরণব্যাধি করোনার প্রাদুর্ভাবে থমকে যায় গোটা দেশ। আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে এদেশের প্রায় ২০ কোটি মানুষ। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে খোদ রাষ্ট্রযন্ত্রও বেশ নড়েচরে বসে। ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সরকার দেশের সর্বত্র অভিনব পদ্ধতির বৈশি^ক স্বাস্থ্যবিধি ও নির্দেশনা জারি করে। মানুষের চিরায়ত ভীড়, চলমান জনসমাগম এড়িয়ে চলে ঘরে থাকতে কঠোর নির্দেশনা দেয়। পাশাপাশী করোনা মোকাবেলায় দেশ ও জাতি রক্ষা করতে সরকার অন্তহীন প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখে।
প্রথম দিকে সরকারি নির্দেশনা প্রশাসনিক স্তরে, শহর-বন্দরে সচেতনতার কিছুটা ভাব পরিলক্ষিত হলেও গ্রামে-গঞ্জে পুরনো সেই দৃশ্যই কার্যত চোখে পড়ে। বাধ্য হয়েই সরকার দেশ ও জাতিকে সুরক্ষা দিতে দেশব্যাপি প্রশাসনিক অ্যালার্ট বৃদ্ধি করে দেয়। মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকে গ্রামের মানুষও বৈশি^ক স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারি নির্দেশনা মেনে গৃহিবন্দি হয়ে পড়েন। মরণব্যাধির প্রাদুর্ভাব থেকে নিজে এবং দেশ ও সমাজের মানুষের সুরক্ষায় হাত-পা গুঠিয়ে ঘরেই অবস্থান করতে শুরু করে। কয়েক সপ্তাহে গ্রামের হাজার হাজার দিনমজুর-শ্রমজীবি মানুষ, কৃষক-কৃষানী, মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন কর্মহীন হয়ে পড়ে।
গ্রামে বাস করি তাই গ্রামের মানুষকে নিয়েই কথা বলছি। অধিকন্তু কুড়ি বছর ধরেই তো গ্রাম পর্যায়ে স্বেচ্ছাশ্রমের পেশা গ্রামীণ সাংবাদিকতায় রয়েছি। তাই গ্রামের মানুষের বাস্তব যাপিত জীবন থেকে অর্জিত নতুন অবিজ্ঞতা নিয়ে কীছু বলার চেষ্টা করবো। এখানে বলে রাখি যে-২০০০ সালের শুরুতে গ্রামীণ সাংবাদিকতায় যুক্ত হয়েছিলাম। সেই থেকে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে নিয়েই আমার যতসব ভাবনা। নানা চড়াই-উৎরাইয়ের পথ অতিক্রম করে আজো এ পেশায় জড়িত রয়েছি। গ্রামীণ সাংবাদিকতায় নেই উচ্চ বিলাসী স্বপ্নও। মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম নেয়ায় কোনো রকম এ পেশায় আজো ঠিকে আছি। জানি গ্রামীণ সাংবাদিকতায়ই যেহেতু হাতেখড়ি তাই ভবিষ্যতে বড়ো মাপের কোনো সাংবাদিক হওয়ার সুযোগও নেই। বৈশি^ক এই মহামারীতে বেঁচে থাকতে পারবো কী না তা জানি না। তাই ভবিষ্যতে কী করবো এমন পরিকল্পনাও এখন পর্যন্ত মননে বাধছেনা। তবে এ কথাটি খুব জোরগলায় বলতে পারি-বিশ^ব্যাপি মহামারীর এ ক্রান্তিলগ্নে প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়েও ছুটে চলছি মানুষের দ্বারে দ্বারে। খুব কাছে থেকে দেখছি গ্রামের মানুষকে। কেবল অবলোকন করছি কিভাবে ভয়-ভীতি, আতঙ্ক ও কষ্ঠের মাঝে দিনাতিপাত করছেন গ্রামের মানুষ। অবাক হওয়ার বিষয় বিপর্যস্থ পৃথিবী, ক্ষতিগ্রস্ত রাষ্ট্র ও সমাজে প্রাত্যহিক জীবন যাত্রায় গ্রামের মানুষরা কতটা সংগ্রামী হয়ে ওঠেছেন।
এপ্রিল মাস শুরু হওয়ার পর মাতৃভূমি প্রিয় বাংলাদেশে মহামারী করোনার প্রাদুর্ভাব ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে থাকলে গ্রামের মানুষ আরও বেশি কর্মহীন ও আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন। দিনমজুর ও শ্রমজীবি মানুষগুলো যে পরিবার পরিজন নিয়ে কতটা বেকায়দায় পড়েন তার বলার ভাষা নেই। খুব সম্ভবত সারা দেশের চিত্রই তাই হবে, তবুও মনে করিয়ে দিতে চাই আমার এ অভিজ্ঞতার সঞ্চার হয়েছে কেবল আমার জন্মস্থান সুনামগঞ্জ জেলার প্রত্যন্ত এলাকাকে ঘিরেই। করোনা প্রাদুর্ভাবে সাবাই ধীরে ধীরে ঘরমুখি হচ্ছেন। দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও স্থানীয় খবরের কাগজগুলোর প্রিন্ট ভার্সন বন্ধ করে দিয়েছে, বন্ধ হয়ে গেছে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, কোট-কাচারী এমন কী হাট-বাজারও। লকডাউন করা হচ্ছে শহর, বন্দর গ্রামীণ জনপদও। জান ও মান বাঁচাতে স্বেচ্ছায় সচেতন-শিক্ষিত মানুষগুলোও স্বেচ্ছায় ঘরবন্দি হয়ে পড়ছেন। সবাই ঘরবন্দি হওয়ার নির্দেশনা থাকলেও মাঠে আছেন কেবল প্রশাসনিক কর্মকতা, ডাক্তার-নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী ও সংবাদকর্মীরা। দেশ ও জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তারা মানুষের সেবায়ব্রতী হয়েছেন। তাই বোধ করি-করোনাযুদ্ধে এরাই হচ্ছেন প্রকৃত যোদ্ধা।
আসি অন্য প্রসঙ্গে- তা হচ্ছে যে কোনো দূর্যোগকালীন সময়ে সরকারি-বেসরকারি ত্রাণ সংস্থা, জনপ্রতিনিধিদের দিকে চাতকের মতো তাকিয়ে থাকেন গ্রামের হতদরিদ্র, দিনমজুর ও শ্রমিক শ্রেণির মানুষ। কিন্তু অপর্যাপ্ত ত্রাণ সহায়তা কিংবা ১০ টাকা মূল্যের ৫ কেজি চাল কি আর সকল দিনমজুর অথবা শ্রমজীবিদের ভাগ্যে জুটে! বিশ^াস করি তা সম্ভবও না। যে গ্রামে অন্তত ১০০টি পরিবারের মধ্যে ৫০ থেকে ৬০টি পরিবারই দিনমজুর কিংবা শ্রমজীবি, সেই গ্রামে স্থানীয় ইউপি সদস্যদের দেয়া তালিকা অনুযায়ী ১০ বা ততোধিক পরিবার (সরকারি সহায়তা/ন্যায্য মূল্যের চাল ও অন্যান্য সহায়তা) পেলেও বাকীরা শূণ্য হাতেই ঘরে ফিরতে হয়। তৃণমূলে এমনিতে সরকারি সহায়তা পাওয়াটাও একটা অনবদ্য সংগ্রামের ব্যাপার। তবুও যারা পেলেন তারাই ভাগ্যবান বলা যায়। তাতেও কী চলে এই মানুষগুলোর জীবন-সংসার! আর যাই হোক বলা যায়, তা কেবল ‘সাঁতারে পানির তৃষ্না মেঠানো বৈকী! জীবন যুদ্ধ তো এক কঠিন যুদ্ধ, এক কঠিন সংগ্রামের নাম। তা কেউ উপলব্দি করে, আবার কেউ করেনা। কেউ প্রকাশ করে আবার কেউ করেনা। আমাদের এ সমাজ ব্যবস্থায় অজস্র অসংখ্য খেটে খাওয়া মানুষ রয়েছেন যাঁরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে মজুরী করে, নিজেরা কামাই করে খায়। তবুও হাত প্রসারের অভ্যাস নেই কীছু সংখ্যক মানুষের। পক্ষান্তরে কীছু মানুষ এরকমও রয়েছেন সহসাই তারা অন্যের দোয়ারে দোয়ারে ঘুরে বেড়ায় কীছু পাওয়ার লালসায়। কেউ বা জীবন সংগ্রামের যাঁতাকলে বাধ্য হয়েই হাত পাতাতে হয়।
এসব কথা বলার আমার উদ্দেশ্যটা হচ্ছে-মরণব্যাধি করোনভাইরাস প্রাদুর্ভাবে সব শ্রেণিপেশার মানুষই এখন প্রায় গৃহবন্দি। কেবল রাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত কিংবা নির্দেশনা পালনই নয় নিজেরা ও পরিবার-পরিজন, সমাজ ও রাষ্ট্রকে বাঁচিয়ে রাখতে স্বেচ্ছায় এখন ঘরমুখি হয়েছেন মানুষ। টানা কয়েকদিন/সপ্তাহ ধরে কর্মহীন হয়ে ঘরেই অবস্থান করছেন ওরা। সরকারি/বেসরকারি সর্বশ্রেণির চাকরীজীবি ও সমাজের উচ্চবিত্তদের (রাজনৈতিক সুবিধা নেয়া ব্যক্তি, জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন পেশাদারী, নেতাকর্মী ও অন্যান্যরা সহ) কথা বাদ দিলে এই দেশের হতদরিদ্র,দিনমজুর, শ্রমজীবি মানুষের কী অবস্থায় দিন কাটছে তা ভাবলে নয় স্ব-চোক্ষে দেখলে যে কারোর হৃদয়ে নাড়া দেবে। তবুও তো সরকারি/বেসরকারি, ব্যক্তি উদ্যোগে মানবতার কল্যাণে যাঁরা এগিয়ে আসছেন তাদের দেয়া সহায়তা দিয়ে তারা কীছুটা হলেও খিদে নিবারন করতে পারছেন অনেকে। অন্তত দু’মুটো ভাত দুই এক বেলা তাদের বউ-বাচ্ছাদের মুখে তুলে দিতে সক্ষম হচ্ছেন। কিন্তু এই আতঙ্কের মধ্যে ক্রান্তিকালীন সময়ে মধ্যবিত্ত শ্রেণির লোক, উপজেলা পর্যায়ে বা গ্রাম পর্যায়ে যারা সাংবাদিকতা করছেন/ সামান্য সম্মানী ভাতায় স্বেচ্ছায় পেশাজীবি, পরিবার নির্ভর ব্যক্তি, রাজনৈতিক রোষানলে ক্ষতিগ্রস্ত/দরিদ্রগ্রস্ত, মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান কিংবা পেশাদারিত্বের পাশাপাশী টুকটাক ব্যবসা বাণিজ্য দিয়ে চলে সংসার জীবন তারাসহ যে কতটা বেকায়দায় পড়েছেন, তা বলাইবাহুল্য। বিগত ১৫/২০ দিনে গ্রামে গ্রামে ঘুরে অনেক মধ্যবিত্ত পরিবারের কর্তাব্যক্তিদের অজোরে কান্নার আওয়াজ আমি শুনেছি। নীরবে অনেককে চোখের পানি মুছতে দেখেছি।
লেখক- প্রাবন্ধিক ও গণমাধ্যম কর্মী
সুনামগঞ্জ
০১৭১৬-৯০০ ১৭৩
hhalalenews@gmail.com
Leave a Reply