কানাইঘাট প্রতিনিধি:: কানাইঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া সুলতানার নির্দেশে গতকাল বুধবার দুপুরের দিকে স্কুল পড়–য়া এক ছাত্রীর বাল্য বিবাহ থানা পুলিশ পন্ড করে দিয়েছে। বিয়েটি পন্ড করার পর সিলেটের আদালতে এফিডেফিটের মাধ্যমে বাল্য বিবাহের পাত্রী ফাতিমা বেগম (১৬) এর সাথে কুয়েত প্রবাসী হারুন রশিদ (২৭)’র বিবাহ সম্পন্ন করা হয়েছে বলে স্থানীয় ইউপি সদস্য শাব্বির আহমদ জানান। জানা যায়, কানাইঘাট সাতবাঁক ইউপির দাবাধরনিমাটি গ্রামের আলী আহমদের মেয়ে ফাতিমা বেগম (১৬) কয়েক মাস আগে জুলাই আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত অবস্থায় লেখাপড়া বাদ দেয়। সচেতন মহলের বাঁধা নিষেধ উপেক্ষা করে গতকাল বুধবার চুপিসারে নিজ বাড়ীতে পাশর্^বর্তী জয়পুর গ্রামের আব্দুল্লাহর পুত্র কুয়েত প্রবাসী হারুন রশিদ এর সাথে ফাতিমা বেগমের বাল্য বিবাহ অনুষ্ঠান চলাকালে দুপুর ১২টার দিকে কানাইঘাট থানার এস.আই লিটন মিয়া একদল পুলিশ নিয়ে কনের বাড়ীতে গিয়ে বাল্য বিবাহের অনুষ্ঠানটি বন্ধ করার নির্দেশ দেন। এ সময় সেখানে উপস্থিত কনে ও বর পক্ষের লোকজন পুলিশের বাঁধা উপেক্ষা করে বিয়ের আয়োজন করার চেষ্টা করলে পুলিশ বিয়ের প্যান্ডেল ভেঙ্গে অনুষ্ঠান পন্ড করে দেন। পরে এসআই লিটন মিয়া বাল্য বিবাহের কুফল ও এ সংক্রান্ত আইনের নির্দেশনা শুনিয়ে স্থানীয় মুরব্বিদের জড়ো করে বাল্য বিবাহ বন্ধের ঘোষণা দিয়ে আসেন। কিন্তু বরের পিতা আব্দুল্লাহ ও কনে পক্ষের লোকজন প্রশাসনের বাঁধা নিষেধ উপেক্ষা করে বাল্য বিবাহটি পন্ড করার পর সিলেট আদালতে গিয়ে এফিডেভিটের মাধ্যমে ফাতিমা বেগম ও হারুন রশিদের বিবাহ সম্পন্ন করান। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া সুলতানার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, কনে ফাতিমা বেগমের বিয়ের উপযুক্ত বয়স না হওয়ায় তার বিবাহ অনুষ্ঠান আমরা বন্ধ করে দিয়েছি। জুলাই আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছাব্বির আহমদের সাথে যোগাযোগ করা হলে, তিনি বলেন ফাতিমা বেগম আমার বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির একজন শিক্ষার্থী ছিল। বছর খানেক পূর্বে সে লেখাপড়া বাদ দিয়েছে। তার বয়স ১৬ বছরের মতো হবে। বর ও কনে পক্ষের লোকজন ক্ষুদ্ধ হয়ে জানান, আমরা আমাদের ছেলে-মেয়েদের বিয়ে দিব, এখানে প্রশাসনের বাঁধার কারন কী বলে রাগান্বিত হয়ে মেয়ের বয়স ১৮ বছরের কম স্বীকার করে বলেন এতে কী হয়েছে? আমরা তাদের বিয়ে দিয়েছি।
Leave a Reply