কানাইঘাট প্রতিনিধি :: নোভেল করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে জনসাধারণকে সচেতন করার জন্য কানাইঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মুমিন চৌধুরী, নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ বারিউল করিম ও থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শামসুদ্দোহা পিপিএম প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তে ছুটে যাচ্ছেন। করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের নানা ধরনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন আপাময় জনসাধারণ। প্রতিদিন বিশেষ করে উপজেলা হাট-বাজারগুলোতে স্বাস্থ্য নির্দেশিকা বিলি ও নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের বাজার মনিটরিং, সরকারী আদেশ মেনে দোকান পাট বন্ধ, জটলা বেঁধে চলাফেরার উপর কঠোর মনিটরিং এবং সরকারী আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে জরিমানা আদায়ও করছেন নির্বাহী কর্মকর্তা বারিউল করিম খান। পাশাপাশি উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মুমিন চৌধুরী, থানা পুলিশ ও প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধিরা মাঠ পর্যায়ে সক্রীয় রয়েছেন। করোনা সংক্রমণ থেকে উপজেলাবাসীকে সচেতনতা করতে প্রশাসনের কঠোর ভূমিকার কারনে জনগণের মধ্যে সচেতনতা অনেকটা বৃদ্ধি হয়েছে। পাশাপাশি প্রতিদিন প্রশাসনের মাধ্যমে প্রবাস ফেরতদের মনিটরিং এবং তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখতে নজরদারি অব্যাহত রয়েছে। অপরদিকে করোনা ভাইরাসের কারনে উপজেলার জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে দরিদ্র দিনমজুর ও শ্রমজীবিরা চরম বিপাকে পড়েছেন। বাড়িতে থাকার কারনে কাজ করতে পারছেন না তারা। সরকারী উদ্যোগে মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় উপজেলার একেবারে হতদরিদ্র ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মাঝে কিছু খাদ্য সামগ্রী ঘরে ঘরে পৌঁছে দিচ্ছেন নির্বাহী কর্মকর্তা বারিউল করিম খান ও জনপ্রতিনিধিরা। এরই ধারাবারিকতায় গতকাল শনিবার উপজেলার ১নং লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ও ২নং লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউনিয়নের ৬০জন দুস্থ, দরিদ্র, প্রতিবন্ধী ও পঙ্গু ব্যক্তিদের মাঝে জনপ্রতি ১০ কেজি চাল, ৫ কেজি আলু, ২ কেজি ডাল, ১ কেজি পেঁয়াজ ও ১ লিটার সয়াবিন তৈল বিতরণ করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুমিন চৌধুরী, নির্বাহী কর্মকর্তা বারিউল করিম খান। এ সময় তাদের সাথে ছিলেন লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউপি চেয়ারম্যান ডাঃ ফয়াজ আহমদ, লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউপি চেয়ারম্যান জেমস্ লিও ফারগুসন নানকা।
Leave a Reply