কানাইঘাট প্রতিনিধিঃ কানাইঘাট লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউপির কালিনগর আগফৌদ গ্রামে
গত বৃহস্পতিবার রাতে স্বামীর হাতে স্ত্রী ফাতেমা বেগম খুনের ঘটনায় কানাইঘাট থানায়
হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহতের মা কালিনগর আগফৌদ গ্রামের আব্দুল খালিকের স্ত্রী
জলিকা বেগম বাদী হয়ে গত শুক্রবার থানায় এ হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ফাতেমা বেগমের
পলাতক স্বামী মরম আলীর নাম উল্লেখ করে আরো ৩/৪ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে।
থানার মামলা নং- ২২, তারিখ- ১৭/১০/২০২০ইং।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ফাতেমা বেগমের লাশের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল শনিবার
রাতে যে কোন সময় ফাতেমার লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে মামলার তদন্তকারী
কর্মকর্তা এস.আই সঞ্জিত কুমার জানিয়েছেন।
এদিকে ফাতেমা বেগম খুন হওয়ার পর থেকে তার স্বামী মরম আলী পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতার
করার জন্য পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। হত্যাকান্ডের রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য
কয়েকজনকে পুলিশ আটক করে জিজ্ঞাসাবাদও করেছে বলে জানা গেছে।
প্রসজ্ঞত যে, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহের জের ধরে গত বৃহস্পতিবার রাতে ফাতেমা
বেগমকে তার পিত্রালয়ে আলাদা ঘরে শ^াসরুদ্ধ করে হত্যার করে পালিয়ে যায় তার স্বামী একই
গ্রামের জালাল উদ্দিনের পুত্র মরম আলী। শুক্রবার সকালে ঘটনার খবর পেয়ে থানা পুলিশ ও সিলেট
সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিটের একটি দল ফাতেমার লাশ উদ্ধার করে। ফাতেমার শরীরে বিভিন্ন
জায়গায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায় এবং তার মুখ ও কান দিয়ে রক্ত বের হতে দেখা গেছে। এ
হত্যাকান্ডের সাথে ফাতেমা বেগমের স্বামী মরম আলী ছাড়াও আর কেউ জড়িত রয়েছেন কি না
সেটাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এলাকার অনেকে বলছেন প্রায় এক বছর পূর্বে অন্য স্বামীর ঘর
থেকে পালিয়ে এনে ফাতেমা বেগমকে বিয়ে করে মামাতো ভাই মরম আলী। বিয়ের পর থেকে মরম
আলী তার বাড়ি ছেড়ে শ^শুড় বাড়িতে আলাদ ঘরে ফাতেমাকে নিয়ে বসবাস করত। বিয়ের পর থেকে
তাদের মধ্যে ঝগড়া-ঝাটি লেগে থাকতো।
Leave a Reply