কানাইঘাট খেয়াঘাটে মজুদকৃত পাথর লীজ প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়ার দাবী ব্যবসায়ীদের

কানাইঘাট প্রতিনিধি :: কোন ধরনের নোটিশ ও মেজরমেন্ট ছাড়াই কানাইঘাট লোভাছড়া পাথর কোয়ারী থেকে অনুমানিক ১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত কানাইঘাট-খেয়াঘাট সুরমা নদী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বৈধ ভাবে খরিদকৃত ব্যবসায়ীদের ডাম্পিংকৃত পাথর সিলেট পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক নিলাম প্রক্রিয়ার অর্ন্তভুক্ত করায় তা বাতিলের দাবী জানিয়েছেন পাথর ব্যবসায়ীরা। গতকাল রবিবার বিকেল ৩টায় কানাইঘাট প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ পাথর ব্যবসায়ী সমিতি কানাইঘাট আঞ্চলিক শাখার পাথর ব্যবসায়ীদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠকালে জেলা যুবলীগের সদস্য কানাইঘাট বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক পাথর ব্যবসায়ী আব্দুল হেকিম শামীম বলেন, খেয়াঘাট সুরমা নদীর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দীর্ঘ ৩০-৩৫ বছর ধরে লোভাছড়া পাথর কোয়ারী থেকে বৈধভাবে পাথর ক্রয় করে অসংখ্য ক্ষুদ্র ও মাঝারি পাথর ব্যবসায়ী তাদের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। কোয়ারীর ইজারার মেয়াদকালীন সময়ে কোয়ারীর সাবেক ইজারাদার মস্তাক আহমদ পলাশের কাছ থেকে রশিদ মূলে সরকারের রাজস্ব পরিশোধ করে তারা সেখান থেকে পাথর ক্রয় করে খেয়াঘাট এলাকায় মজুদ করে বর্তমানে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। তাদের মজুদকৃত পাথর অবৈধ নয়, বৈধ পন্থায় খরিদ করা। কিন্তু মিডিয়ার মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা জানতে পেরেছেন পরিবেশ অধিদপ্তর, সিলেটের উদ্যোগে তাদের খরিদকৃত পাথর জব্দ করে লীজ প্রক্রিয়ায় আনা হয়েছে। ব্যবসায়ীদের কোন ধরনের নোটিশ ছাড়াই কোয়ারী থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত খেয়াঘাট এলাকায় ব্যবসায়ীদের ডাম্পিংকৃত পাথর লীজ প্রক্রিয়ার অর্ন্তভুক্ত করায় পাথর ব্যবসায়ীরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। খেয়াঘাট এলাকার মজুদকৃত পাথর লী প্রক্রিয়া থেকে বাতিল করা না হলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা তাদের সমস্ত পূঁজি হারিয়ে পথে বসার উপক্রম হবে। এলাকার হাজার হাজার শ্রমিকরা কাজ হারিয়ে বেকার হয়ে পড়বেন, এতে করে এলাকায় নানা ধরনের অপরাধ মূলক কর্মকান্ড বেড়ে যাবে। সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, তারা বৈধভাবে কোয়ারী থেকে পাথর ক্রয় করে যখন ব্যবসা শুরু করেছেন তখন তাদের পাথর জব্দ ও লীজ প্রক্রিয়ার অর্ন্তভুক্ত করায় ব্যবসায়ীরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। এমতাবস্থায় পুঁজিহারা সর্বশান্ত পাথর ব্যবসায়ীদের আর্তনাদ বিবেচনা সহ হাজার হাজার শ্রমিকের রুটি-রুজির পথ সুগম করার জন্য খেয়াঘাট থেকে সুরমা সেতু পর্যন্ত ব্যবসায়ীদের মজুদকৃত পাথর লীজ প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়া সহ ব্যবসায়ীদের বৈধ খরিদকৃত মজুদকৃত পাথর বিক্রির ব্যবস্থা গ্রহণে সরকারের সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষের প্রতি আকুল আহ্বান জানান ব্যবসায়ীরা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ পাথর ব্যবসায়ী সমিতির কানাইঘাট আঞ্চলিক শাখার প্রধান উপদেষ্টা সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম রানা, উপদেষ্টা বিশিষ্ট পাথর ব্যবসায়ী ফরিদ আহমদ ডিলার, এনামুল হক, সমিতির সভাপতি আব্দুল মালিক মানিক, সাধারণ সম্পাদক জসীম উদ্দিন, পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পাথর ব্যবসায়ী খাজা শামীম আহমদ শাহীন, উপজেলা জাপার সাধারণ সম্পাদক বাবুল আহমদ, সমিতির কোষাধ্যক্ষ আব্দুল মজিদ, সাবেক ছাত্রদল নেতা পাথর ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম, পাথর ব্যবসায়ী আব্দুল করিম, এবাদুর রহমান, আব্দুস সাত্তার সহ অর্ধ শতাধিক পাতর ব্যবসায়ীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ জাতীয় আরো খবর..

ফেসবুকে আমরা