কানাইঘাট প্রতিনিধ::কানাইঘাট থানা পুলিশের বিরামহীন অভিযানে এক সপ্তাহের মধ্যে চোরাইকৃত ৫টি
গরু উদ্ধার সহ ৫ গরু চোর গ্রেফতার। জানা যায় গত ২৪ অক্টোবর গভীর রাতে হাবিবুর
রহমানের বসত বাড়ীর গোয়ালঘর হইতে ৩টি গরু চোরেরা চুরি করিয়া নিয়া যায়। উক্ত
চুরির ঘটনায় উপজেলার সাতবাঁক ইউপির জুলাই নয়ামাটি গ্রামের মৃত আব্দুল
হান্নানের পুত্র আব্দুল মালিক কানাইঘাট থানায় খালেদ আহমদ নামে এক গরু চুরের নাম
উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা চোরদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলা রুজুর পর তদন্তকারী
কর্মকর্তা থানার এসআই সবুজ কুমার নাইডু চোরাইকৃত গরু উদ্ধার ও চোরদের
গ্রেফতার তৎপরতা শুরু করে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ২৬ অক্টোবর সড়কের বাজার
এলাকায় অভিযান চালিয়ে এজাহার নামীয় মামলার আসামী খালেদ আহমদ (২৩)কে
গ্রেফতার করেন। খালেদ আহমদ গ্রেফতারের পর তাহার সাথে জড়িত চোরদের নাম ঠিকানা ও
চোরাইকৃত গরুর তথ্য সহ ঠিকানা দিলে থানা পুলিশ অপর দুই চোর জুলাই পীরনগর
গ্রামের মাসুক আহমদের ছেলে মোহাম্মদ আলী (২২) ও কেউটি হাওর গ্রামের আব্দুল
মতিনের পুত্র আব্দুল হামিদ কে গ্রেফতার সহ চোরাইকৃত ৩টি গরু উদ্ধার করতে সক্ষম
হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে গত ২৭ অক্টোবর পুলিশ আদালতে প্রেরন করেছে। অপর
দিকে লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউপির কান্দলা গ্রামের মৃত মুহিবুর রহমানের পুত্র সোহেল
চৌধুরীর ২টি গরু গত ২১ অক্টোবর রাতে চুরি হলে সোহেল চৌধুরী বাদী হয়ে
কানাইঘাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই
আনোয়ারুল ইসলাম মামলার প্রেক্ষিতে চোরাইকৃত গরু উদ্ধার ও চোরদের গ্রেফতার
অভিযান শুরু করেন। সোহেল চৌধুরীর গরু চুরির ঘটনায় গত ২৫ অক্টোবর রাতে কান্দলা
এলাকা থেকে মৃত নছির আলীর পুত্র সালমান আহমদ (২২) ও জালাল আহমদের পুত্র আবুল কালাম
(৩২)কে গ্রেফতার করেন। আটকৃতদের জবানবন্দীর ভিত্তিতে বীরদল ও ডাউকেরগুল এলাকা থেকে
চোরাইকৃত ২টি গরু করা হয়। ধৃত আসামীদের আদালতে প্রেরন করেছে থানা পুলিশ।
Leave a Reply