কিশোরীকে এডিসে ঝলসে দেয়ার মামলায় ৩ নারী সহ মোট ৫ জনকে গ্রেপ্তার 

নোয়াখালী প্রতিনিধি:অনৈতিক কাজে রাজি না হওয়ায় নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার এক কিশোরীকে এসিডে ঝলসে দেয়ার অভিযোগের মামলায় ৩ নারী সহ মোট ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সুধারাম মডেল থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, আজ সকালে জেলা শহর মাইজদী থেকে পলি বেগম(২৮) নামে ওই নারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বাদলের স্ত্রী। এনিয়ে এই ঘটনায় ৩ নারী সহ মোট ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো। তাদের মধ্যে গতকাল আটক হওয়া চার জনকে আজ আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ। ভুক্তভোগী ওই কিরোশীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ণ ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।

রাহেনা আক্তার (১৪) নামে ওই কিশোরী হাতিয়ার চানন্দী ইউনিয়নের চর নঙ্গোলিয়া গ্রামের এনায়েত উল্যার মেয়ে। তার মা শামছুন নাহার অভিযোগ করেন, চার মাস আগে প্রতিবেশী জামাল উদ্দিনের মেয়ে রিনা আক্তার তাদের অগচরে রাহেলাকে ফুসলিয়ে বাড়ি থেকে নিয়ে যায়। তারপর বিভিন্ন জায়গায় রেখে তার ওপর নানা রকম নির্যাতন চালানো হয়। রোববার রাতে চট্টগ্রামের কালুরঘাট ব্রিজের নিচ থেকে মূমুর্ষ অবস্থায় রাহেনাকে উদ্ধার করে এক ব্যক্তি মুঠোফোনে বাড়িতে খবর দেয়। এরপর তারা রাহেলাকে এনে নোয়াখালী এনে হাসপাতালে ভর্তি করেন। এরপর রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ণ ইউনিটে পাঠানো হয়।

ভুক্তভোগী রাহেনার অভিযোগ, রিনা আক্তার তাকে বাড়ি থেকে মাইজদীতে আলেয়ার বাসায় রেখে অনৈতিক কাজের প্রস্তাব দেয়। এতে রাজি না হওয়ায় এসিড মেরে তার শরীর ঝলসে দেয়। রোববার রাতে তাকে চট্টগ্রামের কালুরঘাট ব্রিজের পাশে নিয়ে ফেলে দেয়। অসহায় পরিবারটি এই ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম জানান, মেয়েটির শরীরে এসিড বা ক্যামিকেল জাতীয় দ্রব্য দিয়ে শরীর ঝলসে দেয়ার অবিযোগ করে। এছাড়াও তার শরীতে ব্যাপক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এসিডের পরীক্ষা ও উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে।

ওসি আনোয়ার হোসেন আরো জানান, এ ব্যপারে ওই কিশোরীর ভাই জাকের হোসেন বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর রাতেই পুলিশ চারজনকে আটক করে। তারা হলেন-সদর উপজেলার দেবীপুর গ্রামের মিজানুর রহমান সুমন, তার স্ত্রী আলেয়া বেগম, হাকিমপুর গ্রামের আবদুর রহমানের ছেলে সাহাব উদ্দিন(৩৮) ও হাতিয়ার জামাল জামাল উদ্দিনের মেয়ে রিনা আক্তার(২৫)। সকালে পলি বেগম নামে আরও এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পলি কোম্পানীগঞ্জের বাদলের স্ত্রী। জেলা শহর মাইজদীতে বাসা ভাড়া করে থাকে সে। আসামীদের জিজ্ঞাসাবাতের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আজ দুপুরে আদঅলতে পাঠানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ জাতীয় আরো খবর..

ফেসবুকে আমরা