ডেস্ক রিপোর্ট ::ছেলেটা শহরে চাকরি করে, রুমমেট হিসেবে থাকে এক মেয়ের সঙ্গে। মেয়েটা খুব চুপচাপ, পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন এবং আত্মসম্মানবোধে ভরপুর।
তাদের কেউ কাউকে ভালবাসার কথা বলেনি। শুধু একসাথে থাকা, ছোট ছোট ভালোবাসা-
গরম ভাতের সাথে মেঘলা বিকেলে ডাল…
সকালে উঠে পাশে রাখা চায়ের কাপ…
মাঝে মাঝে ছেলেটা মেয়েটার জন্য তার প্রিয় লাল গোলাপ কিনে আনে, কোনো উপলক্ষ ছাড়াই।
একদিন মেয়েটার মা শহরে আসে।
মেয়েটা মাকে জানায়- তুমি যা ভাবছো মা, আমরা কেবল বন্ধু।
মা কিছু বলে না।
তবে যাওয়ার সময় মেয়েটার দিকে তাকিয়ে হাসে। বলে, “এই ছেলেটা কিন্তু খুব ভাগ্যবান।
সপ্তাহখানেক পর, ছেলেটা খেয়াল করে— মেয়েটা খুব চুপচাপ হয়ে গেছে।
আর আগের মতো কথা বলে না, রান্না করে না, হাসেও না।
একদিন জিজ্ঞেস করল—
“কি হলো তোমার? কিছু বলছো না কেন?
মেয়েটা উত্তর দিল—
“আমার মা চলে যাওয়ার পর থেকে আমার একটা প্রিয় চুলের ক্লিপ খুঁজে পাচ্ছি না। খুব ছোট জিনিস… কিন্তু আবেগ জড়ানো।”
ছেলেটা বললো—
“তুমি কি ভাবছো তোমার মা নিয়ে গেছেন?”
মেয়েটা মাথা নেড়ে বললো—
“না, কিন্তু কেউ ইচ্ছা করে হারিয়ে ফেলেছে, এমন মনে হচ্ছে।”
ছেলেটা পরদিন নিজের ডায়েরির ভেতরে এক টুকরো চিঠি রেখে মেয়েটার টেবিলে রেখে দিল—
“আমি জানি না তুমি এখনো বুঝতে পারো কি না, কিন্তু হারিয়ে যাওয়া চুলের ক্লিপটা আমি লুকিয়ে রেখেছি… তোমার জীবনে আমি ঠিক কতটা জায়গা দখল করেছি, সেটা জানার জন্য।
তুমি যখন সেটা খুঁজছিলে, আমার বুকটা কেঁপে উঠেছিল… কারণ, আমি বুঝে গেছি,তুমি শুধু রুমমেট না… তুমি আমার ভালোবাসা।
সাথে ছিলো সেই চুলের ক্লিপটা…
আর একটা ছোট লাল গোলাপ।
Leave a Reply