গাইবান্ধায় প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে বাড়ি পেলো ১০ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী পরিবার

ছাদেকুল ইসলাম রুবেল গাইবান্ধাঃ গাইবান্ধায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে ১০ পরিবারকে আধাপাকা ইটের বাড়ি উপহার হিসেবে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সদর উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের হতদরিদ্র ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর এসব পরিবার এমন বাড়ি পেয়ে আনন্দে অশ্রুসিক্ত। করোনাভাইরাসের এ দুর্যোগ মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন হতদরিদ্র এ সুবিধাভোগীরা।
বৃহস্পতিবার (০৯ জুলাই) গাইবান্ধা সদর উপজেলার কুপতলা ইউনিয়নে জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন ফিতা কেটে ঘরের মালিকদের কাছে চাবি হস্তান্তর করেন। এ সময় সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) প্রসূন কুমার চক্রবর্তী, সহকারী কমিশনার ভুমি মো. সিরাজুল ইসলাম, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান, কুপতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি তাজুল ইসলামসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হতে সমতলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে উপজেলায় ১০টি সেমিপাকা (আধাপাকা) বাড়ি নির্মাণ করা হয়। যেখানে প্রতিটি বাড়িতে রয়েছে চৌচালা টিনের ছাউনির দুইটি ঘর। যার মোট দৈর্ঘ্য ২২ ফুট এবং প্রস্থ ১০ ফুট। মেঝে পাকা করে দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ঘরে রয়েছে একটি করে কাঠের দরজা ও দুইটি করে জানালা। ঘরের একপাশে করে দেওয়া হয়েছে রান্নাঘর, টয়লেট, স্টোররুম এবং অপরপাশে একটি পাকা বারান্দা ও সিঁড়ি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান জানান, যাদের জমি আছে কিন্তু গৃহ নির্মাণের সামর্থ্য নেই এমন দরিদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সম্প্রদায়ের লোকজনের মাঝে এই গৃহ নির্মাণের সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়া হয়। প্রতিটি ঘরের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৯৫ হাজার টাকা।
নতুন ঘরের চাবি পেয়ে সুবিধাভোগী সুধিয়া রাণী রবিদাস ও সুজন কুমার রবিদাস আবেগাপ্লুত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান এবং আনন্দ প্রকাশ করেন।
গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন বলেন, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই প্রকল্প গ্রহণ করেছেন। ইতোপূর্বে বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে সুবিধাভোগীদের বাছাই করা হয়েছে। এরপর পরিকল্পনা অনুযায়ী বাড়িগুলো তৈরি করে তাদের বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ঘরগুলো অত্যন্ত মানসম্মত ও ল্যাট্রিণগুলো অনেক স্বাস্থ্যসম্মত উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন ভবিষ্যতে এমন আরো ঘরের প্রস্তাব প্রেরণের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে নির্দেশনা প্রদান করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ জাতীয় আরো খবর..

ফেসবুকে আমরা