গেলবার খাইল ঠিকাদাররা, এ বছর খায় পিআইসিরা

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি::ফসলরক্ষা বাঁধে ছক একে চলছে লুঠের মহোৎসব। এর সাথে যুক্ত হয়ে পড়েছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। জেলার ৫২ টি হাওরে ৯৬৪টি পিআইসিতে ১২২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে । বাঁধের মোটা অংকের টাকা যাচ্ছে জলে, পকেটে। কৃষকের কাজে আসছে না অনেক প্রকল্প। আবার যেখানে কম টাকায় বাঁধ নির্মাণ করা যায় সেখানে অতিরিক্ত টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। হাওরের পিআইসিরা আটক হচ্ছেন, মুছলেকা দিয়ে ছাড় পাচ্ছেন। ধরা ছোঁয়ার বাহিরে রয়ে গেছেন সেন্ডিকেট নেতারা। আগে হাওর খাইত ঠিকাদাররা, এখন খায় পিআইসিরা।

লুঠের ধান্ধায় বাঁধ এলাকায় খাই খাই করছে পিআইসিরা। ৩য় ও ৪র্থ বিলের অপেক্ষায় প্রহর গুনছে পিআইসিরা। বিল উত্তোলনের পরই বাটোয়ারা হতে পারে নেতা পাতি নেতাদের মধ্যে। তবে অনেক হিসাব নিকাশ করে বিল পরিশোধের বিষয়টি ভাবছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। বিল না পাওয়ার শংকাও তাড়া করছে পিআইসিদের মাঝে। গেল বারের চাইতে এবার মাটির দর ৬ গুন নির্ধারণ করা হয়েছে। এখান থেকে শ্রমিকরা ৪ গুণ টাকা বুঝে নিচ্ছেন।

অবশিষ্ট দুই গুণ লুট হয়ে যাচ্ছে কেউ পাচ্ছে না টের। এটি এখন হাওর পাড়ের গল্প। হাওরপাড়ে এসব অনিয়মের চিত্র দেখতে হলে ঘুরে আসুন বিশ^ম্ভরপুর, তাহিরপুর, দোয়ারাবাজার, দিরাই, শাল্লা, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ, জগন্নাথপুর, ধর্মপাশা ও সদর উপজেলার বড় বড় হাওরগুলো। একটু লক্ষ্য করুণ সরকার নদী ভাঙ্গনরোধে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করলেও জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার মান্নারগাঁও ইউপিতে নদীর তীর কেটে সরকারি টাকায় ফসলরক্ষা বাঁধের নামে সড়ক নির্মাণ করছে ৫ টি পিআইসি কমিটি’র সভাপতি ও সদস্য সচিবেরা। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পুটিপশী- জালালপুর গ্রামের পাশে ফসলরক্ষা বাঁধের নামে সড়ক নির্মাণ কাজে নদী ভাঙ্গন কবলিত সুরমা নদীর পাড় কেটে মাটি উত্তোলন করা হচ্ছে। স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, নদী ভাঙ্গনের কবল থেকে গ্রাম রক্ষার জন্য প্রতিবাদ, মানববন্ধন করেছি। যাহাতে সরকার নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধ ব্যাবস্থা নেয়।

কিন্তু এখন দেখা যায়, উল্টো সরকারি টাকায় রাস্তা নির্মাণের নামে নদী ভাঙ্গনের সৃষ্টি করা হচ্ছে। অপর এক মুরুব্বি প্রতিবেদককে দেখে কেঁদে কেঁদে বলতে থাকেন আমার কার কাছে যাব, এমনিতেই নদী ভাঙ্গনের কারণে ঝুঁিকর মধ্যে আছি। এখন আবার ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় আরো ভাঙ্গনের সৃষ্টি করা হচ্ছে। পিআইসি কমিটি’র সভাপতিরা জানান, নদীর তীর ছাড়া মাটি পাওয়া যায়না। তাই বাধ্য হয়েই নদীর পাড় কেটে মাটি আনতে হয়।

এদিকে ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণের ১৭ লক্ষ টাকার মধ্যে প্রথম বিল একাউন্টে রেখেই কাজ না করেই লুঠে খাওয়ার চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছেন দোয়ারাবাজার উপজেলার চাঞ্চল্যকর সেলিম হত্যা মামলার আসামী ও পান্ডারগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামীগের সাধারণ সম্পাদক পিআইসি কমিটি’র সভাপতি আমজাদ হোসেন। দক্ষিণ সুনামগঞ্জে পুর্ব পাগলা ইউনিয়নে ডেকার হাওর অংশের ডাইক ৩ এর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৩১ নং প্রকল্পের বাঁধে ২৫ লক্ষ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ এ বাঁধে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা ব্যয় হতে পারে। আশ্চর্য্যের বিষয় একদিকে বাঁধ নির্মাণ হচ্ছে অন্যদিকে বাঁধে দেখা দিয়েছে ফাটল। পকেট ভারী করতেই এমন ছয় নয় কাজ করছেন পিআইসিরা। জগন্নাথপুরে ১৮ পিআইসিকে অনিয়মের কারণে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে । শাল্লায় ছায়ার হাওরে বাঁধ ভাঙ্গলে পুরো দিরাই শাল্লার ফসল ডুবে যায়।

কিন্তু এখনও টাকা লুটে খাওয়ার আশায় বিশ ভাগও কাজ হয়নি । হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে নীতিমালা লঙ্ঘন, অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প গ্রহণ ও যথাসময়ে ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণের কাজ শেষ না হওয়ার প্রতিবাদে হাওর বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত সোমবার শহরের ডিএস রোডস্থ শহীদ জগৎ জ্যোতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন হাওর বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারন সম্পাদক বিজন সেন রায়। তারা লিখিত বক্তব্যে বলেন, বিলম্বে নির্মিত বাঁধের মাটি আলগা (আলাদা) থাকার কারণে বাঁধ গুলো দুর্বল হবে। তাহিরপুর উপজেলার মটিয়ান ও মহালিয়ার হাওরে ১০ টি পিআইসি, শাল্লা উপজেলার আটগাঁও ইউনিয়নের উজানগাওয়ের খালের বাঁধ, শর্মাল খাল, গৌবিন্দপুর শাশকান্দা বাঁধ, জয়পুর বাঁধের কাজ আজ পর্যন্ত শুরু হয়নি।

দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার দেখার হাওরের উথারিয়া অংশের ৩ টি পিআইসি, দিরাই উপজেলার চাকতির হাওরের খাকছিরা বাঁধের কাজ শুরু না হওয়ায় এলাকার কৃষকরা আগাম বন্যার ভয়ে শংকিত। নীতিমালা অনুযায়ী বাঁধের ৫০ মিটার (১৬৪ ফুট) দূর থেকে মাটি এনে বাঁধ নির্মাণের কথা থাকলেও অধিকাংশ পিআইসি নীতিমালা ব্যতিরেকে বাঁধের গোড়া থেকে মাটি উত্তোলন করে দুর্বল বাঁধ নির্মাণ করছে। এতে বাঁধের ভিত্তি দুর্বল হয়ে বাঁধ গুলো ভেঙ্গে যাওয়ার আশংকা থাকবে। দিরাই উপজেলার চাপতির হাওরের বৈশাখী কম্পার্টমেন্টাল অংশের প্রথম খন্ডের বাঁধ ,কালিয়াকোটা, লাউরজানি, টাংনির হাওরের ভাটিধল বাঁধ, চরনারচর ইউনিয়নের পেরুয়া বাঁধ, শাল্লা উপজেলার ভান্ডাবিল বাঁধ, হবিবপুর ইউনিয়নের কুশিয়ারা নদীর তীরের বাঁধের গোড়া থেকে মাটি উত্তোলনের ফলে এগুলো দুর্বল বাঁধ হয়েছে। সদর উপজেলা কানলার হাওরের বাঁধের গোড়া থেকে মাটি উত্তোলন করে বাঁধ তৈরি করা হয়েছে। দেখার হাওরের ৩৫ নং পিআইসিতে বাঁধের খুব কাছ থেকে মাটি উত্তোলন করা হয়েছে।

নীতিমালা অনুযায়ী বাঁধের গ্রাউন্ড লেবেল থেকে আপার লেবেল তিনগুন হওয়ার কথা থাকলেও বাধ নির্মাণে বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাতের জন্য বেশির ভাগ বাঁধের গ্রান্ড লেবেল সরু করা হয়েছে। এমন অনেক হাওরে বাধ নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা না থাকলেও প্রভাবশালীদের ইশারায় স্থানীয় অনুসারিদের খুশি করতে অবৈধ আর্থিক সুবিধা দিতে প্রকল্প গ্রণ করা হয়েছে। এতে সরকারি অর্থ অপচয় হচ্ছে। হাওরেরর ফসল রক্ষা বাধের টাকা দিয়ে শহর রক্ষা বাঁধ, গ্রামীণ সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে।

এগুলো ফসল রক্ষার ক্ষেত্রে কোন কাজে আসবে না। ফসল রক্ষা বাধের বরাদ্দ দিয়ে সদর উপজেরা নবীনগর- ধারারগাঁও এলাকায় দুটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। ৪০ লাখ টাকা ব্যায়ে এ বাঁধ গুলো ফসলের কোন কাজে আসবে না বলে তিনি অভিযোগ করেন। একই ভাবে সদর উপজেলার মোল্লাপাড়া ইউনিয়নের দরিয়াবাজ এলাকায় একটি বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে যা দেখার হাওরের ফসল রক্ষায় কোন ভুমিকা রাখবে না। একই উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের ইনাত নগর থেকে রামনগর পর্যন্ত পিআইসি, জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়নের ডলুরা হতে কাইয়ারগাঁও থেকে জরজরিয়া পর্যন্ত সড়কের উপর প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এসব পিআইসি অত্যন্ত দায় সারা ভাবে কাজ সম্পন্ন করেছে।

দিরাই উপজেরার রফিনগর ইউনিয়নের খাগাউড়া গ্রাম থেকে সেচনি হয়ে বাংলাবাজার পর্যন্ত প্রকল্পটি হাওরের ফসল রক্ষায় কোন ভুমিকা রাখবে না। বিশ^ম্ভরপুর উপজেলার ধনপুর ইউনিয়নের পুটিয়ার হাওরের ২৭,২৮,৪২,ও ৪৩ নং পিআইসির প্রকল্প হাওরের ফসল রক্ষার সঙ্গে কোন ভাবেই সম্পৃক্ত নয়। একই উপজেলার চলতি নদীর ৩১, ৩২,৩৩,৩৪ নম্বর পিআইসির মাধ্যমে খরচার হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণের জন্য যে প্রকল্প নেয়া হয়েছে সেগুলো হাওর থেকে অনেক দূরে যা ফসল রক্ষার সঙ্গে কোন সম্পর্ক নেই। এছাড়া জামালগঞ্জ, দক্ষিন সুনামগঞ্জসহ বিভিন্ন উপজেলায় অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প তৈরি করে সরাকারি টাকা আত্মসাত ও অপচয় করা হচ্ছে। নীতিমালা অনুযায়ী প্রতিটি বাধে র্দুমুজ করার কথা থাকলেও বেশির ভাগ বাঁধে র্দুমুজ ও ঘাস লাগানোর কাজ হয়নি। অথচ প্রতিটি বাঁধে র্দুমুজ করার জন্য সরকার ২৩ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এটাকার কোন কাজ হয়নি।

ফলে টাকা গুলো অপচয় ও আত্মসাতের আশংকা রয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে আরও বলেন, অনেক পুরাতন বাধে মাটির প্রলেপ দিয়ে বাধটিকে একবারে নুতনের মতো আবয়ব দেয়া হয়েছে। এজন্য বাধের পুরো টাকায় আত্মসাতের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। অনেক বাধ বেলে মাটি দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে যে গুলো আগাম বন্যার পানির চাপ ঠেকাতে অসমর্থ। প্রকল্প এলাকায় বরাদ্দ, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নাম, পদবী সমন্বিত সাইন বোর্ড টানানোর কথা থাকলেও বেশির ভাগ প্রকল্পে সাইনবোর্ড টানানো হয়নি।

অধিকাংশ ফসলরক্ষা বাঁধে প্রতি ঘনমিটার মাটির মূল্যে গেল বছরের তুলনায় কোন কোন বাঁধে ৩ গুন আবার কখনও ৬ গুন বেশি ধরা হয়েছে। ফলে বরাদ্দের পরিমান বেশি হওয়ায় টাকার সিংহভাগ চলে যাচ্ছে পিআইসিদের পকেটে। চলছে হরিলুটের মহোৎসব। পাউবো সুত্রে জানাযায়, গেল বছর আগাম বোর ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণকাজে বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল ১১ কোটি টাকা, প্রতি ঘন মিটার মাটির মূল্য ছিল ১২৮ টাকা। চলতি বছর ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণকাজে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১২২ কোটি টাকা ও প্রতি ঘন মিটার মাটির মুল্য অধিকাংশ বাঁধে ধরা হয়েছে গেলা বারের চেয়ে ৩ থেকে ৬ গুন অর্থাৎ ৩ শ থেকে ৭ শ টাকা। বাঁধ নির্মাণকাজের সার্ভে রিপোর্ট তৈরিতে অনিয়মের কারনে বরাদ্দ বেশি দেয়া হয়েছে। ফলে সরকারের কোটি কোটি টাকা গচ্ছা যাচ্ছে। এতে পিআইসিদের টাকা লুটপাটের সুযোগ করে দেয়া হয়েছে বলে দাবী স্থানীয় সচেতন মহলের। সম্প্রতি শাল্লা উপজেলার উদঘলবিল হাওর উপপ্রকল্পের বাঁধ নির্মাণ কাজ পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, প্রকল্প নং ১৮ এর ১৬০ মিটার দৈর্ঘ্য বাঁধের ৩৭০৭.৫৫ ঘনমিটার মাটির জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ২৩ লক্ষ ৬১ হাজার টাকা। এতে প্রতি ঘনমিটার মাটির মূল্যে ধরা হয়েছে ৬৩৬ টাকা। একই হাওরের প্রকল্প নং-১৯ এর ৩৫৫২.৮৮ ঘন মিটার মাটির জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ২২ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা। এতে প্রতি ঘনমিটার মাটির মূল্যে ধরা হয়েছে ৬৩২ টাকা।

তাহিরপুর উপজেলার মাতিয়ান হাওরের উপপ্রকল্পের পিআইসি নং ৪১ এর ১২৪৮৬ ঘন মিটার মাটির জন্য বরাদ্দ দেয় হয় ৩১ লক্ষ ৭৮ হাজার টাকা। এতে প্রতি ঘনমিটার মাটির মূল্য ধরা হয়েছে ২৫৪ টাকা। গ্রামের শ্রমিক ঘন মিটারের হিসাব জানেনা । যেখানে ৬শ টাকা পাওয়ার কথা সেখানে তারা পাচ্ছে ৪শ টাকা । এ যেন এক বিকাশ প্রতারনা। এ দৃশ্য শুধু এখানে নয় কম বেশী জেলার সকল হাওরেই চলছে এরকম লুটের নৈরাজ্য। সম্প্রতি এসব অনিময়ে ধর্মপাশা ইউএনও মামুন খন্দকার ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছেন। তিনি একের পর এক পিআইসি আটক করে মুছলেকা আটক করে কাজের গ্যারেন্টি নিচ্ছেন। তার পদাংক অনুসরণ করে জামালাগঞ্জের ইউএনও শামীম আল ইমরান আটক মুছলেকা আদায় করছেন। তবে অন্য কোন উপজেলায় এ রকম অভিযান তেমন একটা চোখে পড়েনি। বাঁধ নির্মাণে পাউবো’র শাখা প্রকৌশলীরাও ছিটকে পড়ছেন আগে ভাগেই।

তাদের আখের গোছাতে গত শনিবার জামালগঞ্জের পাকণার হাওরের ১১ জন পিআইসি উপর টুকে দিয়েছেন মামলা। বাঁধের এ অনিয়মের চিত্র দেখে পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী ১১ উপজেলার ইউএনওকে বিল ছাড় দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। এ খবর জানাজানি হলে পিআইসি ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে যোগাযোগ রাখছেন। পুরো বিল পাওয়ার আশায় এমপি মন্ত্রিসহ সংশ্লিষ্ঠ উর্ধতন কতৃপক্ষে’র সাথে জোড় তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন অসাধু পিআইসিরা। পাউবো নির্বাহি প্রকৌশলী আবু বক্কর সিদ্দিক ভুইয় বলেন, অনিয়মে বিষয়ে তদন্ত পুর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং কাজ দেখে বিল দেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ জাতীয় আরো খবর..

ফেসবুকে আমরা