ছাদেকুল ইসলাম রুবেলঃঃ সংক্রমণের ভয়ে করোনাভাইরাস কিংবা এই রোগের উপসর্গ নিয়ে মৃতদের কাছে আসছেন না অনেক পরিবারের সদস্যসহ এলাকাবাসী, এ অবস্থায় লাশ সৎকারে থানা পুলিশের সহায়তায় এগিয়ে এসেছেন স্থানীয় কাউন্সিলর রিমন তালুকদার।গতকাল মঙ্গলবার গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার দূর্গাপুর এলাকায় করোনা আক্রান্ত হয়ে শ্রীবাস চক্রবর্তী (৬৫) নামে এক অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা ও ঔষধ ব্যাবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর পর তার মরদেহ সৎকারে কোনো আত্মীয়স্বজন ও এলাকাবাসী ভয়ে এগিয়ে না আসায় গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার প্যানেল মেয়র২ ও উপজেলা পূজা উৎযাপন পরিষদের উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক রিমন কুমার তালুকদার ও স্থানীয় থানা পুলিশ এর সহায়তায় মৃত দেহের সৎকার করেন।
করোনা আক্রান্ত হয়ে শ্রীবাস মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে মারা যান। কিন্তু তার কোনো এলাকাবাসী ও আত্মীয়স্বজন লাশ দাহ করতে এগিয়ে আসেনি। পরে স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর খবর পেয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি মেহেদী হাসান কে বিষয়টি জানান।
এরপর ওসির নির্দেশে স্থানীয় কাউন্সিলর গোবিন্দগঞ্জ থানার এ এস আই মাসুদ রানাসহ ও অন্যান্য পুলিশ সদস্যদের নিয়ে পরে মরদেহ উদ্ধার করে পুরোহিতদের সহায়তায় স্থানীয় শ্মশানে সৎকার করা হয়।এসময় উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ন আহবায়ক জালাল উদ্দিন রুমি,নয়ন তালুকদার,ছেলে সৌরভ চক্রবর্তী উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে কাউন্সিলর রিমন তালুকদার বলেন, সম্প্রতী করোনা উপসর্গে কিংবা সাধারণ মৃত্যু ব্যাক্তিদের সৎকার করতে ভয়ে কেউ এগিয়ে আসতেছে না। তাই শেষকৃত্যে নিজ ধর্ম রীতি অনুসরণ করে মৃত ব্যাক্তির পরিবারের অনুমোদন সাপেক্ষে নিজেই লাশ সৎকার করছেন তিনি।জানা গেছে তিনি করোনাকালীন সময়ে সাধারণ মৃত্যু ও উপসর্গসহ তিনটি লাশ সৎকারের পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন।
এছাড়া গোবিন্দগঞ্জ শহরের প্রাণকেন্দ্রে এ কাউন্সিলরের নিজ এলাকার ৬নং ওয়ার্ডের এ প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে ছুটে চলেছেন অনবরত।তার পুরো এলাকাটাই রোডজোন ঘোষণা করে লকডাউন কার্যকর করেছে প্রশাসন।এ লকডাউন কার্যকরে ও নিজ এলাকাবাসীকে সংক্রমণ প্রতিরোধে শনাক্তের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সে বাড়ী লকডাউনসহ প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও প্রতিবেশীদের সতর্ক করে চলেছেন তিনি।শনাক্তদের বাড়ীতে বাজারসহ প্রয়োজনীয় ঔষধ সরবরাহের ব্যাবস্থাও করছেন তিনি।
একই সাথে হ্যান্ড মাইক হাতে নিয়ে তার এলাকার বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে দাঁড়িয়ে মাইকিং করে সচেতন করছেন তিনি।
Leave a Reply