-
- Uncategorized
- গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতাল জনগোষ্ঠীর বর্ণাঢ্য র্যালি আলোচনা সভা
- আপডেট টাইম : August, 7, 2019, 8:29 pm
- 418 বার
ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস উপলক্ষে গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতাল জনগোষ্টির বর্ণাঢ্য র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত।
বুধবার (৭ আগস্ট) গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের চাংগুড়া কাঁচের চড়া উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন মাঠে আলোচনা সভা, বর্ণাঢ্য র্যালি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও সাঁওতাল জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী তীর ছোড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়ে সাঁওতাল পল্লীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। দিবসটির প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ‘টেকসই উন্নয়ন, শান্তি ও সম্প্রীতির জন্য আদিবাসী ভাষাও সমান গুরুত্বপূর্ণ’।
সিভিল সোসাইটি অর্গানাইজেশন ‘অবলম্বন’ কর্তৃক এ কর্মসুচীর আয়োজনে সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সভাপতি ফিলিমন বাস্কের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন,বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক ওয়াজিউর রহমান রাফেল, সাংস্কৃতিক সংগঠক দেবাশীষ দাশ দেবু, বিশিষ্ট সমাজকর্মী জিয়াউল হক কামাল, বৈদ্যনাথ প্রামানিক, সঞ্জীবন কুমার, বেসরকারি সংগঠন অবলম্বনের সভাপতি কৃষিবিদ সাদেকুল ইসলাম গোলাপ, নির্বাহী পরিচালক প্রবীর চক্রবর্তী, কাঁচের চড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শহিদুল ইসলাম, মাসুদ হাসান, আদিবাসী নেতা গণেশ মুর্মু, প্রিসিলা মুর্মু, যুব নেতা রুবেল সরেন প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, আদিবাসী জনগোষ্ঠী নীতি-নির্ধারণী প্রক্রিয়া থেকে বাদ পড়ায় যুগে যুগে তারা নির্যাতিত, শোষিত এবং বঞ্চনার শিকার হয়েছে। যখন এসব অন্যায্য, অবিচারের বিরুদ্ধে নিজেদের অধিকারের স্বপক্ষে তারা কথা বলেছে, তখন তাদের দমন নির্যাতন ও হত্যার শিকার হতে হয়েছে। গোবিন্দগঞ্জের আদিবাসীরাও তার ব্যতিক্রম নয়।
বক্তরা আরো বলেন, মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট নৃভাষা বৈজ্ঞানিক সমীক্ষার মাধ্যমে বাংলাদেশে ৪১টি ভাষার সন্ধান পেয়েছে। এর মধ্যে ১৪টি ভাষা বিপন্ন। এখন পর্যন্ত ৫টি ভাষায় প্রাথমিক স্তর পর্যন্ত পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন ও শিক্ষা কার্যক্রম চালু হয়েছে। কিন্তু কোথাও আলাদাভাবে এই ভাষার জনগোষ্ঠীদের শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়নি। অবিলম্বে বিশেষ ব্যবস্থায় শিক্ষক নিয়োগ এবং সব আদিবাসীদের জন্য মাতৃভাষায় প্রাথমিক পর্যায়ে শিক্ষা চালুর দাবি জানান তারা। তাছাড়া বিভিন্ন অঞ্চলে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ভূমি জবরদখল ও তাদের চিরায়ত ভূমি থেকে উচ্ছেদ করার উদ্দেশে সাম্প্রদায়িক হামলা, জবরদখল, ধর্ষণ, হত্যা, অপহরণ বাড়ছে। বিশেষ করে নারীর উপর সহিংসতার মাত্রা উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। জাতিসংঘ ঘোষিত অন্যান্য দাবি রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করা হলেও আদিবাসী দিবস পালন করা হয় না। এ দিবসটিও রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করা উচিত বলে তারা মন্তব্য করেন।
এ জাতীয় আরো খবর..
Leave a Reply