নোয়াখালী প্রতিনিধি:ভারতের ঊরিষ্যা উপকূলের আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় ফণী মোকাবিলায় নোয়াখালীতে ২৫০টি আশ্রয় কেন্দ্র ও সাড়ে ৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবী প্রস্তুত রাখা হয়েছে। নোয়াখালীর উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে দমকা হাওয়া বইছে এবং থেকে থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় ফণী’র কারণে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়া উপজেলায় সব ধরনের নৌ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, হাতিয়ায় সব ধরনের নৌ চলাচলা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। উপকূলীয় উপজেলা হাতিয়া, সুবর্ণচর, কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাটে লাল পতাকা উত্তোলন ও প্রচার মাইক দিয়ে মাইকিং করে জনসাধারণকে সচেতন করা হয়েছে। নদী উপকূল এলাকা থেকে শুক্রবার সকালে মানুষদেরকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
ফণী মোকাবিলায় জেলায় ২৫০টি আশ্রয় কেন্দ্র, সাড়ে ৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবক, ৬হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার, ২০০শ মেট্রিক টন চালসহ প্রয়োজনীয় সংখ্যক যানবাহন ও মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
অপরদিকে, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ঘুর্ণিঝড় ফণি মোকাবেলায় ১০৪ আশ্রয়াণ কেন্দ্র, ৩২ মাটির কিল্লা ও সহ¯্রাধিক স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত রেখেছে বলে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ম্যানেজিং বোর্ড সদস্য ও জেলা ইউনিটের সেক্রেটারি শিহাব উদ্দিন শাহিন জানান।
আশ্রয়াণ কেন্দ্র, মাটির কিল্লা প্রস্তুতের পাশাপাশি শুকনা খাবার, সুপেয় পানি ও দুর্যোগকালীন তাৎক্ষণিক প্রয়োজনে নগদ তিন লক্ষ টাকাও হস্ত মজুদ রাখা হয়েছে। এছাড়া স্বেচ্ছাসেবকদের ৫টি টিমে বিভক্ত করা হয়েছে, প্রস্তুত করা হয়েছে মেডিকেল টিম ও খোলা হয়েছে নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র। ইতোমধ্যে রেড ক্রিসেন্টের পক্ষ থেকে বিভিন্ন স্থানে মাইকিং ও সতর্কীকরণ পতাকা উত্তোলণ ও মানুষদেরকে সরিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক তন্ময় দাস আরো জানান, ছয় হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার, দুইশ মেট্রিক টন চালসহ প্রয়োজনীয় সংখ্যক যানবাহন ও মেডিকেল টিমও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। উপকূলীয় চার উপজেলা হাতিয়া, সুবর্ণচর, কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাটে লাল পতাকা উত্তোলন ও প্রচার মাইক বের করা হয়েছে। এছাড়া হাতিয়ায় সব ধরণের নৌ চলাচলা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
Leave a Reply