জগন্নাথপুর(সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ:বর্ষার মৌসুম এলেই রাস্তায় জলাবদ্ধতার কারনে জনসাধারণ ও যানবাহন চলাচল ভোগান্তির শেষ নেই। বিশেষ করে গ্রামের রাস্তাঘাট এ সময়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। যোগাযোগ ব্যবস্থার অন্যতম ব্যস্ততম সড়ক সমূহে সময়মত সংস্কার না করায় ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয় এবং বৃষ্টি হলে এসব গর্তে পানিজমে বিপদজনক সড়কে পরিনত হয়েছে।
সুনামগঞ্জ ভায়া আউশকান্দি-ঢাকা মহাসড়কের বেহাল অবস্থা দেখার যেন কেউ নেই। দুই বছর ধরে এ সড়ক পথে ঝুঁকি নিয়েই প্রতিনিয়ত যানবাহন চলাচল করছে। এ মহা সড়কের জগন্নাথপুর উপজেলার নারিকেলতলা থেকে রানীগঞ্জ বাজার পর্যন্ত মন্তরগতীর সংস্কার কাজ ভুগান্তির কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। এছাড়াও রানীগঞ্জ সেতুর দক্ষিণ পাড়ে প্রায় ৫ কিলোমিটার পর্যন্ত মহা সড়কটি মরনফাঁদে পরিনত হয়েছে। রসূলপুর,আমিনপুর,গোতগাও,কসবা পর্যন্ত এই সড়কে ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। চলতি বৃষ্টির মৌসুমে এসব গর্তে পানি জমে থাকায় যানবাহন চলাচলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে।
জগন্নাথপুর উপজেলার কুশিয়ারা নদীতে রানীগঞ্জে ফেরী থাকায় সুনামগঞ্জ-ঢাকা এই মহা সড়ক পথে প্রতিদিন ট্রাক, ট্রাক্টর সহ অসংখ্য যানবাহন চলাচল করছে। নির্মাণাধিন রানীগঞ্জ সেতুর জন্য মালামাল বহনকারী ভাড়ী ট্রাক চলাচল করায় সড়কে ঢেউয়ের আকার ধারন করেছে। এসব রাস্তায় চরম ঝুঁকি নিয়ে যানবাহনে জনসাধারণ যাতায়াত করেন।
রাস্তা সংস্কারের ব্যাপারে সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপদের উপ-নির্বাহী প্রকৌশলী মো.মুস্তাফিজুর রহমান বলেন,রানীগঞ্জ বাজারের দক্ষিণপাড় হতে আলীগঞ্জ বাজার পর্যন্ত রাস্তায় সংস্কারের কাজ আগামী অর্থ বছরের শুরু হবে।
সড়ক ও জনপদ বিভাগের কর্মকর্তাদের সংস্কারের আশ^াসে দুই বছর পার হলেও ঝুকিপূর্ণ এ সড়কটি সংস্কার হয়নি। গত বছর সড়কটির বেহাল অবস্থা উপর একাধিক অনলাইন পোর্টাল ও প্রিন্ট পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। সড়কটির বেহাল অবস্থা দেখেও সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষ সংস্কারের কোন প্রকার উদ্দ্যোগ নেয়নি।
Leave a Reply