জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি::হিন্দু ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার বাকি আর মাত্র কয়েকদিন। চারদিকেই এখন দুর্গাপূজার উৎসবের আমেজ। অশুরিক শক্তির বিনাশ আর বিশ্ব শান্তির বার্তা নিয়ে আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে দেবী মা দূর্গার আগমনে উলুধ্বণীতে পূজা মন্ডপগুলো মুখর হয়ে উঠবে। এরই মধ্যে প্রতিমাতে মাটি লাগানোর কাজ শেষ হয়ে গেছে। এখন প্রতিমা শিল্পিরা রঙ তুলির আঁচড়ের মাধ্যমে প্রতিমাগুলো সাজানো প্রায় শেষ পর্যায়ে। প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে আগামী ১৯ অক্টোবর অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটবে।
জগন্নাথপুর পূজা উদযাপন পরিষদ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পৌরশহর সহ ৮টি ইউনিয়নে ২৬টিতে সার্বজনিন এবং ৬টিতে পারিবারিকভাবে দুর্গোৎসব উদযাপন হবে। সব কয়টি মন্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। উপজেলার জগন্নাথপুর পৌর সভায় ৩টি মন্ডপে সার্বজনিন এবং ২টি মন্ডপে পারিবারিকভাবে দুর্গোৎসবের আয়োজন ছাড়াও কলকলিয়া ইউনিয়নে ৩টি, পাটলী ইউনিয়নে ১টি, মীরপুর ইউনিয়নে ৫টি, চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়নে ৩টি, রানীগঞ্জ ইউনিয়নে ৫টি, সৈয়দপুর শাহারপাড়া ইউনিয়নে ১টি, আশারকান্দি ইউনিয়নে ৪টি ও পাইলগাঁও ইউনিয়নে ৫টি মন্ডপসহ মোট ৩২টি মন্ডপে দূর্গোৎসব অনুষ্টিত হবে।
পূজা উদযাপন পরিষদ জগন্নাথপুর উপজেলা শাখার সভাপতি পৌরসভার সহকারি প্রকৌশলী স্বতিশ গোস্মামী, সাধারন সম্পাদক আর্ট স্কুলের অধ্যক্ষ প্রনব বণিক জানান, প্রতি বছরের ন্যায় জগন্নাথপুরে দুর্গোৎসব উদযাপনে উপজেলার ৩২টি মন্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ এখন শেষ পর্যায়ে রয়েছে। সুষ্ট্র ও শান্তিপূর্নভাবে উৎসবটি উদযাপনে ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। প্রতিবারের মত এবারও খুব উৎসব মুখর পরিবেশেই পূজা অনুষ্ঠিত হওয়ার আশা রয়েছে।
পূজার নিরাপত্তার বিষয়ে জানতে জগন্নাথপুর ভারপ্রাপ্ত ওসি নব গোপাল দাশের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সার্বজনীন দূর্গা পূজা অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে উপজেলা প্রশাসন ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। প্রতিটি মন্ডপে পুলিশ, আনসার দায়িত্বপালন করবেন। ছোট ছোট পূজা মন্ডপে ৪জন ও বড় পূজা মন্ডপে ৬জন করে ও প্রত্যেক পূজা মন্ডপে ১জন করে পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে। এখন পুরো তথ্য দিতে পারবনা ১৩ তারিখে নির্দেশনা আসবে আসলে বলা যাবে।
Leave a Reply