জগন্নাথপুর উপজেলার কৃষক এনামুল হক এবারও ভূট্রা-ধনিয়া চাষে সফল চাষি

শাহ এস এম ফরিদ,সুনামগঞ্জ:: ধান চাষাবাদের পাশাপাশি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে কয়েক বছর ধরে মৌসুমি শাক সবজি চাষাবাদ হচ্ছে। কুশিয়ারা নদীর তীরবর্তী এলাকা এখন ভূট্রা, মিষ্টি কুমড়া, বাদাম, ধনিয়া, টমেটো সহ মৌসুমি শাক সবজি উৎপাদনের উর্ভর ভূমিতে পরিনত হয়েছে। ভূট্রা চাষে এলাকার কৃষকরা অধিক লাভবান হওয়ায় উদ্ভুদ্ধ হয়ে চাষাবাদ করছেন। জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের কৃষক এনামুল হক বলেন, গত ৩ বছর ধরে জমিতে ভুট্টা চাষ করছি। প্রথমে দুই বিঘা জমিতে ভূট্রা চাষ করে অন্য ফসলের তুলনায় বেশি লাভ পেয়েছি । এবার আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সিলেট অঞ্চলের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কৃষি সম্প্রাসারণ অধিদপ্তর জগন্নাথপুর উপজেলার পরামর্শ ও সহযোগিতায় ২০২৩-২০২৪ সনে রৌয়াইল ব্লকে বালীশ্রী এলাকায় প্রদর্শনী ভুক্ত জমি সহ প্রায় ২০ বিঘা জমিতে ভুট্টা ও ধনিয়া চাষ করেছি। এনামুল হক বলেন, প্রতি বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষে খরচ হয় ৮ থেকে ৯ হাজার টাকা। প্রতি বিঘা জমিতে ৩৫ থেকে ৪০ মন ভূট্রা ফলন হয়। প্রতি মণ ভূট্রা ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা দরে বিক্রি করছি। এতে অন্য ফসলের তুলনায় বেশি লাভবান হয়েছি। এনামুল হক সহ এলাকার অনেক ভূট্রা, ধনিয়া, টমেটো, বাদাম, মরিচ, বেগুন, টমেটো সহ মৌসুমি সবজি চাষ করে লাভবান হচ্ছেন। জগন্নাথপুর উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি অফিসার সুমন চন্দ্র দাস বলেন, চাষাবাদের উপযোগী শতশত একর উর্বর জমি রয়েছে। কৃষকদের উদ্যোগ ও পরিশ্রমে জগন্নাথপুর উপজেলায় কৃষিতে সফলতা এসেছে। আমরা আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদে কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি ও কৃষকদের সরকারি প্রনোদনা প্রদান সহ প্রয়োজনীয় সকল সুযোগ সুবিধা দিয়ে কৃষকদের পাশে রয়েছি।

 

ফেসবুকে আমরা