সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি::মেঘালয় পাহাড়ের কুলঘেষা তাহিরপুরের ট্যাকেরঘাট চুনাপাথর খনি প্রকল্পের পতিত ভুমিতে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের অর্থায়নে নির্মিত শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজ কটেজের উদ্বোধন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন বাস্তবায়নে নির্মিত শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজ কটেজের গত মঙ্গলবার বিকেলে শুভ উদ্বোধন করেন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম।
এসময় জেলা প্রশাসক মোঃ. সাবিরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা সেল’র পরিচালক- সাবিহা ইয়াসমীন, বিভাগীয় কমিশনারের একান্ত সচিব অঞ্জন দাশ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী নুরুল মোমেন, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান, দৈনিক যুগান্তরের তাহিরপুরের ষ্টাফ রিপোর্টার হাবিব সরোয়ার আজাদ, উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। কটেজ উদ্বোধন শেষে জেলা প্রশাসনের দায়িত্বশীল সুত্র জানান, হাওরের রাজধানী খ্যাত রামসার প্রকল্পভুক্ত সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের টাঙ্গুয়ার হাওর, বৃটিশ শাসনামলে প্রতিষ্টিত ট্যাকেরঘাট চুনাপাথর খনি প্রকল্প, বারেকটিলা, মেঘালয় পাহাড়ের বুক চিরে আসা স্বচ্ছ পানির রুপের নদী জাদুকাঁটা সহ জয়নাল আবেদীন শিমুলবাগানে আসা দেশী-বিদেশী ভ্রমণ পিপাসু ও পর্যটকরা এ কটেজে আবাসিক সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।
ইতিপুর্বে জেলা প্রশাসনের বাস্তবায়নে পর্যটক ও ভ্রমণ পিপাসুদের বিনোদন -দুর্ভোগ লাঘবে ট্যাকেরঘাটের পতিত ভুমিতে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের অর্থায়নে স্বাধীনতা উপত্যকা, শহীদ সিরাজ লেকের তিনপাশ ঘিরে বসার জন্য পাকা বেঞ্চ, শিশুদের ব্যবহারের জন্য দোলনা, লেকের পাশে থাকা টিলার ওপর বসার ছাউনি, লেকের পানির ওপর দাড়িয়ে লেকের সৌন্দর্য্য উপভোগ করার জন্য ষ্টিলের তৈরী কয়েকটি ভাসমান বোর্ড ও ওয়াশ রুম, টয়লেট তৈরী করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মো. সাবিরুল ইসলাম বলেন, দুর-দুরান্ত থেকে আসা দেশী বিদেশী ভ্রমণ পিপাসু ও পর্যটকরা জেলা প্রশাসনের অনুমতি সাপেক্ষে নির্ধারিত ভাড়া পরিশোধ করে পরিবার-পরিজন নিয়ে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজ কটেজে দিবা-রাত্রী আবাসিক সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। রাজধানী ঢাকার পর্যটন সংগঠন ‘‘দে ছুট ভ্রমণ সংঘের এডমিন ও ভ্রমণ বিষয়ক জাতীয় লেখক জাভেদ হাকীম ট্যাকেরঘাটে কটেজ নির্মাণের মাধ্যমে পর্যটকগণের অল্প পরিসরে আবাসিক সুবিধা তৈরীর করার জন্য সংগঠনের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড ও জেলা প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
Leave a Reply