সুরমা, বগুলা, লক্ষীপুর, নরসিংপুর, বাংলাবাজার ও দোয়ারাবাজার সদরসহ উপজেলার সবক’টি ইউনিয়নের নিম্ননাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। মাঠ ও গোচারণ ভূমি তলিয়ে যাওয়ায় গবাদি পশু-পক্ষি নিয়েও বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। একদিকে বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাস সংক্রমন, অপরদিকে পরপর তিন দফা বন্যায় অবর্ণনীয় ক্ষয়ক্ষতি। আর এসব ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নেয়াতো দূরের কথা, পরিবার পরিজনসহ দু’বেলা খেয়েপরে বাঁচাটাই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবুও আশানুরূপ ফলন নিশ্চিত করতে বুকে সাহস নিয়ে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে আমনের চাষাবাদ সম্পন্ন করে ঘরে উঠেছেন সবেমাত্র। তার উপর অতীতের রেশ না কাটতেই আবারও চতুর্থ দফা বন্যার অশনি সংকেত। এ যেন ‘মারার উপর খাড়ার ঘা’।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের তথ্যমতে দোয়ারাবাজারে এ বছর আমনের চাষাবাদ হয়েছে ১৪ হাজার ৫৬০ হেক্টর। বেসরকারি হিসাবে আরও বেশি হবে বলে জানান ভূক্তভোগিরা। কিন্তু ভরা আশ্বিন মাসে এভাবে অতিবর্ষণ ও পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকলে ধানের চারা পঁচে গিয়ে আমনসহ আগামি অগ্রহায়ণি ফসল পুরোদমে অনিশ্চিতের আশংকা করছেন অভিজ্ঞ মহল। তবে জমিতে ৫-৭দিন পানি থাকলেও আমনের তেমন ক্ষতি হবেনা বলে জানান স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের দায়িত্বশীলরা। পানিতে তলিয়ে যাওয়া চারায় নতুন করে আবারও ডেম গজিয়ে ফসল উৎপাদনে তেমন ব্যাঘাত ঘটবেনা বলে তারা জানান। এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত বর্ষণ ও পানিবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
Leave a Reply