দোয়ারাবাজার প্রতিনিধি:: গত দু’দিনের টানা ভারি বর্ষণ ও সীমান্তের ওপার থেকে নেমে আসা আকস্মিক পাহাড়ি ঢলে সুরমা, চেলা, মরা চেলা, খাসিয়ামারা, কালিউরি, চিলাই, ধূমখালী ও ছাগলচোরাসহ উপজেলার সকল হাওর ও খাল-বিলে হু হু করে পানি বৃদ্ধির ফলে দোয়ারাবাজারে বন্যার আশংকা করা হচ্ছে।
পানি বৃদ্ধির ফলে ২৬ জুন শুক্রবার দুপুরে দোয়ারাবাজার উপজেলা পরিষদের সম্মুখস্থ সুরমা নদীতে ধসে পড়ে আব্দুল হেকিম ও আব্দুল মছব্বিরের দুটি দোকান। ইতিমধ্যে তলিয়ে গেছে উপজেলার প্রবেশ মুখে দোয়ারাবাজার-সুরমা, বগুলা-লক্ষীপুর সড়কটি। সুরমা ইউনিয়নের মহব্বতপুর বাজারে হাটু পানি। এ ছাড়া উপজেলা সদরের সাথে সুরমা, বগুলা, লক্ষীপুর, বাংলাবাজার (আংশিক) ও নরসিংপুর ইউনিয়বাসীর সড়ক যোগাযোগ অচল হয়ে পড়ার আশংকা করা হচ্ছে। এ ছাড়া আমনের বীজতলা তৈরি ও বীজ বপনের এখনই সময়। কিন্তু উপজেলাজুড়ে অধিকাংশ আমনের বীজতলা তলিয়ে যাওয়ায় জমি চাষাবাদ ও বীজ বপন অনিশ্চিতের আশংকা করছেন কৃষকরা। অপরদিকে হু হু করে পানি বৃদ্ধিতে মাছের পুকুর তলিয়ে যাওয়ার আশংকায় হতাশ হয়ে পড়েছেন মৎস্যচাষ খ্যাত দোয়ারাবাজার সদর ও সুরমা ইউনিয়নের শতাধিক খামারিরা।
এছাড়া জমিতে পানি উঠায় উপজেলার বগুলাবাজার, লক্ষীপুর, বাংলাবাজার ও নরসিংপুর ইউনিয়নের সবজি চাষীরা পড়েছেন বিপাকে। এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত ভারি বর্ষণ ও পানিবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
Leave a Reply