সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি::
দোয়ারাবাজার উপজেলার বাঁশতলা কলোনী গ্রামে স্বামী গৃহবধুকে হত্যার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন । গত মঙ্গলবার বিকেলে সিলেট বিভাগীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নির্যাতিত মৃত গৃহবধুর ভাই লিটন মিয়ার পক্ষে মামা মো. কামরুল হাসান। সংবাদ সম্মেলনে সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার বাঁশতলা গ্রামের বাসিন্দা মেয়ে হারানো বাবা রুস্তম আলী বলেন, গত ১৯ জানুয়রী ২০২০ ইং তারিখে আমার মেয়ে হোসনা আক্তারের নানী মারা যান লাশ দেখতে আসিলে আমার মেয়ে হোসনার স্বামী ও শাশুরী চেয়েছিল ঐ দিনই স্বামীর বাড়ি চলে যেতে। লাশ রেখে না যাওয়াতে শাশুরী গালি গালাজ করে নিয়ে যায়। স্বামীর বাড়িতে নিয়ে শশুর শশুরী ও স্বামী মিলে উভয়েই সারা রাত ভর মারপিঠ করতে থাকলে ২০ জানুয়ারী ২০২০ ইং অজ্ঞান অবস্থায় সিলেট এমএজি ওাসমানী মেডিকেল যাওয়ার পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক হোসনা আক্তারকে মৃত্যু ঘোষনা করে। লাশ নিয়ে যাওয়া হয় হিমাগারে। খবর পেয়ে গৃহবধুর ভাই এবং খালা আসিলে ওসমানী মেডিকেলে টাকা দিয়ে হিমাগারে লাশ দেখেন তারা। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্যে খালা লালমতি বলেন, মেডিকেলের কর্মকর্তারা বলেন লাশ নিতে সিলেট কতোয়ালী মডেল থানায় জিডি করেন। কতোয়ালী থানার এস আই আব্দুল বাতেন ভুইয়ী সঙ্গীয় দেলোয়ার হোসেন এসে সুরতহাল রিপোর্ট করেন। গৃহবধুর খালা লালমতি পুলিশের ব্যবহারে চিৎকার করে কান্নায় বলেন, পুলিশ দেলোয়ারের অমানবিক আচরন করে জোড়পৃর্বক সই নিতে বাধ্য করেন। সংবাদ সম্মেলনে দোয়ারা বাজার বাঁশতলা থেকে আসা নির্যাতনে মৃত্যু হোসনা আক্তারের বাবা কান্নায় আবেগ আপ্লৃতে বলেন, আমি গরীব অসহায় মানুষ এলাকার চেয়ারম্যান মেম্বার আমাকে লাশ দাফন করার জন্য আমি দিশেহারা হয়ে লাশ দাফন করতে বাধ্য হই। আমি সঠিক বিচার এলাকার জনপ্রতিনিধি, থানা ও প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দেওয়া হলেও প্রতিকার পাওয়া যায় না। আমার মেয়েকে গলায় টিপে হত্যা করে আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও প্রশাসনের কাছে এর সঠিক বিচার চাই।
Leave a Reply