সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি::
হাওরের ফসল অকাল বন্যায় তলিয়ে যাওয়ার আশংকায় আগামী ৭ দিনের মধ্যে ধান কেটে ঘরে তুলতে হবে। শ্রমিক সংকট মোকাবেলায় স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে সবাইকে ধান কাটায় যুক্ত হওয়া এখন জরুরী হয়ে পড়েছে। কারণ করোনায় দেশে খাদ্যের অভাব দেখা দিতে পারে। এ সংকট মোকাবেলায় আনসার, গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্য, ছাত্র, শিক্ষক, রাজনৈতিক দলের কর্মীসহ সবাই যাতে বিশাল পরিসরে ধানকাটায় যুক্ত হওয়ার আহবান জানানো হয়। রোববার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এ মতবিনিময় সভায় এসব কথা নিয়ে আলোচনা হয়। সভায় আরও বলা হয়, বিশ্বে কৃষি ও অকৃষি উৎপাদনে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। শ্রমিকেরা যাতে ন্যায্য মজুরি পায় এবং অস্বচ্ছল শ্রমিকদের ত্রাণসামগ্রী প্রদানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। জেলার যেসব এলাকার ধান কাটার উপযুক্ত হয়েছে, অন্য এলাকার কম্বাইন্ড হারভেস্টর এবং রিপার মেশিন সেসব এলাকায় প্রেরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। সিলেট বিভাগীয় কমিশনার মোঃ মশিউর রহমান এনডিসি মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ, সিলেট বাপাউবো প্রধান প্রকৌশলী মোঃ নিজামুল হক ভূইঁয়া, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর অতিরিক্ত পরিচালক শ্রী নিবাস দেবনাথ, পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান বিপিএম, সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ শামস উদ্দিন, স্থানীয় সরকার উপ-পরিচালক মোহাম্মদ এমরান হোসেন, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ স¤পাদক ব্যারিস্টার এম. এনামুল কবীর ইমন, পৌরসভা মেয়র নাদের বখত, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ সাবিবুল ইসলাম, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড পওর-২ নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ শফিকুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক মোহাম্মদ সফর উদ্দিন সহ জেলার বিভিন্ন দপ্তরের দপ্তর প্রধানগণ।
Leave a Reply