নবীগঞ্জের এবার চেয়ারম্যান মেম্বার সহ গনর্ধষণের অভিযোগে হবিগঞ্জ আদালতে মামলা

নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি::
নবীগঞ্জ উপজেলার পল্লীতে এবার চেয়ারম্যান মেম্বার সহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে গনর্ধষণের অভিযোগে হবিগঞ্জ আদালতে মামলা হয়েছে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে এফআইআর গণ্যে তিনদিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে নবীগঞ্জ থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন। ঘটনাটি সর্বত্র তোলপাড় হচ্ছে। গতকাল রবিবার বিকালে নবীগঞ্জ থানায় যোগাযোগ করা হলে নবীগঞ্জ থানার ওসি আজিজুর রহমান জানান, মামলাটি রাতেই এফআইআর গণ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযোগ ও স্থানীয় সুত্রে জানাযায়, নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নের পারকুল গ্রামের মহিবুর রহমানের স্ত্রী মৌসুমী বেগম মামলার বিবরণে বলেন, তিনি গত ৮ অক্টোবর বিকালে রিক্সা যোগে শেরপুর বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে পারকুল গ্রামের মেম্বার দুলাল মিয়ার বাড়ির সামনে আসা মাত্র আসামীগন তাকে জোর পূর্বক একটি সিএনজি যোগে অপহরণ করে নিয়ে যায়। একটি অজ্ঞাতস্থানে তিনদিন আটক করে আসামীগন পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। ৪দিন পরে আসামীগণ স্থানীয় আউশকান্দি বাজারের একটি রেস্টুরেন্টে সামনে সিএনজি থেকে নামিয়ে দিয়ে চলে যায়। পরে খবর পেয়ে ভিকটিমের স্বামী মুহিবুর রহমান এসে তাকে উদ্ধার করে নবীগঞ্জ সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা করান। উক্ত ধর্ষণ মামলার আসামীরা হচ্ছেন
উপজেলার আউশকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান হারুন (৫০) ও তার পরিষদের সদস্য দুলাল আহমদ (৪০) সেবুল মিয়া (২৮), সহিদুল মিয়া (২৫) জিবু মিয়া( ২৭) সহ অজ্ঞাত ৩ জন ।
নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল এর বিচারক হবিগঞ্জ জেলা দায়রা ও জেলা জজ মোহাম্মদ হালিম উল্লাহ চৌধুরী গত ১৮ অক্টোবর, নালিশকারীর দরখাস্ত ও জবানবন্দী পর্যালোচনা করে নির্দেশে তিনি বলেন, নালিশের অভিযোগ অপরাধ যোগ্য, তাই নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জকে মামলা এফ আই আর করার নির্দেশ দেন এবং তিন কার্য দিবসের মধ্যে মামলা রজু করে প্রতিবেদন অত্র ট্রাইব্যুনালে প্রেরন করার নির্দেশ দেন।
এদিকে মামলা বাদীর স্বামী মুহিবুর রহমান অভিযোগ করেন, মামলার সাক্ষীদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারের পক্ষ থেকে চাপ সৃষ্টি করে, স্বাক্ষীদের হুমকি দামকি দিয়ে তাদের কাছ থেকে এভিডেভিড করার চেষ্টা করছেন। তাকে মামলা তোলার জন্য হুমকি দিচ্ছেন।
তিনি আরও জানান, তারা এলাকায় প্রভাবশালী হওয়াতে, তাদের লোকজন দিয়ে আমাকে নানা ভাবে হুমকি দিচ্ছে, এতে আমি আমার নিজ বাড়িতে যাওয়ার মত সাহস পাচ্ছি না।
এ ব্যাপারে, ইউপি চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান হারুন বলেন, আমি শোনেছি একটি নারী নির্যাতন মামলা হয়েছে । এ ব্যাপারে বিস্তারিত আমি কিছুই জানিনা।
এ ব্যাপারে, ইউপি সদস্য দুলাল আহমদ বলেন, এই রকম ঘৃণিত কাজের সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নেই, আমাকে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে।
নবীগঞ্জ থানার ওসি আজিজুর রহমান জানান, মামলাটি আদালতের আদেশে প্রক্রিয়াধীন আছে। আজ রাতেই এফআইআর গণ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ জাতীয় আরো খবর..

ফেসবুকে আমরা