ছনি চৌধুরী:: নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের বোয়ালজুর গ্রামে গুষ্ঠিগত চাচাকে অমান্য করে চলাফেরা করার জের ধরে ওয়াহিদ মিয়া(৫০) নামে একজনকে হত্যা করা হয়েছে। পেশায় তিনি রাজমিস্ত্রি। শুক্রবার বিকেল ২টার দিকে এঘটনা ঘটে। ওয়াহিদ ওই এলাকার চান মিয়ার পুত্র। এঘটনায় নবীগঞ্জ থানার ওসি সোহেল রানা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়,সম্প্রতি ওয়াহিদ মিয়া গিয়াস উদ্দিনকে অমান্য করে চলাফেরা করলে এতে ক্ষুব্ধ হন গিয়াস উদ্দিনসহ তার লোকজন।
এঘটনার জের ধরে শুক্রবার বেলা ২টার সময় ওয়াহিদ মিয়া আউশকান্দি বাজার থেকে বাড়ীতে আসার পথে বোয়াজোর গ্রামে গিয়াস উদ্দিন মিয়ার বাড়ির সামনে সিএনজি থেকে নামার সাথে সাথে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা ১০/১৫ জন লোক তাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে গিয়ে মারপিঠ করে। আহত অবস্থায় গিয়াস উদ্দিন এর বাড়ির সামনে সিএনজি ষ্ট্যান্ডের পাশে ফেলে চলে যায়।
গুরুতর আহত ওয়াহিদ মিয়াকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি শেখ মোঃ সোহেল রানার নেতৃত্বে ওসি (তদন্ত) নুরুল ইসলাম,ইনাতগঞ্জ ফাঁড়ি পুলিশের পুলিশ পরিদর্শক সামছদ্দিন খানসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) শেখ মোঃ সোহেল রানা নিহতের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রাত ১১টা পর্যন্ত থানায় মামলা দায়ের করা হয়নি। তবে এঘটনায় জড়িতদের আটক করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, গোয়ালজুর গ্রামে ইতিপূর্বে একাধিক হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। মুক্তাদির, সুরুজ মিয়া,মজিদ মিয়া, কিশোর শাহনাজ নিহত হয়েছে। ওই গ্রামে ২০০১ইং সালের মুক্তাদির হত্যা মামলায় ২০১৬ইং সালে ৭ জনের ফাঁসির আদেশ হয়। রায়ের ২/৩ মাস পর ২০১৬ইং সালের ৪ ডিসেম্বর রাতে কিশোর শাহনাজকে (১৬)কে হত্যা করা হয়। এর পর গোয়ালজুর গ্রাম শান্ত থাকলেও আবারও ওয়াহিদ মিয়া হত্যাকান্ডের ঘটনায় অশান্ত হলো বোয়াজোর গ্রাম।
Leave a Reply