নবীগঞ্জ( হবিগঞ্জ)থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা : নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জে সৌদি আরব প্রবাসী সোহান হত্যা মামলার প্রধান আসামী দিদারসহ ৩জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
গত গত শুক্রবার রাত দেড় টার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিলেট র্যাব ৯ ও শায়েস্তাগঞ্জ র্যাব-১৪, সিপিএসসি এর যৌথ অভিযানে ময়মনসিংহ জেলার ধোবাউড়া উপজেলার মুন্সিরহার এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করেন।
গ্রেফতারকৃত হলো সোহান হত্যা মামলার প্রধান আসামী উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের লতিবপুর গ্রামের ইমান উদ্দিনের পুত্র দিদার আলী(২৭),তার অপর দুই সহযোগী একই গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে জাহিদ (২১) ও মৃত সাহাব উদ্দিনের পুত্র বাবলু মিয়া(২৪)।
এর আগে গত ৫ নভেম্বর বিকেলে সিলেট ও শায়েস্তাগঞ্জ র্যাব যৌথ অভিযান পরিচালনা করে চুনারুঘাট উপজেলার নতুন ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় হবিগঞ্জের চুনারুঘাট থানার নতুন ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে লতিবপুর গ্রামের লিলফর মিয়ার পুত্র হাবিবুর রহমানকে গ্রেফতার করে জগন্নাথপুর থানায় হস্তান্তর করে।
হত্যাকান্ড সংঘটিত হওয়ার এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৪ জনকে গ্রেফতার করা হলো।
উল্লেখ্য,গত ২৮ অক্টোবর সন্ধা ৭টায় নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের উমরপুর গ্রামের মৃত গিয়াস উদ্দিনের পুত্র নুরকাছ,লতিবপুর গ্রামের দিদার ও তার সহযোগীদে সাথে একই ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের নিহত সোহানের তুচ্চ বিষয় নিয়ে বাকবিতণ্ডা ও মারামারি হয়। এক পর্যায়ে সোহানকে দিদার, নুরকাছ ও তার সহযোগীরা ইনাতগঞ্জ বাজারের ( জগন্নাথপুর অংশে) গলিতে ফেলে প্রকাশ্যো দাড়ালো ছুরি দিয়ে আঘাত করে শরীরের বিভিন্ন অংশ ক্ষত বিক্ষত করে।
এক পর্যায়ে সোহান মাটিতে লুটিয় পড়লে নুরকাছ গ্যাস ভর্তি সিলিন্ডার দিয়ে সজোরে বুকে আঘাত করে। সোহানকে বাঁচাতে অপর দুজন এগিয়ে আসলে তাদেরকে ছুরিকাত করা হয়। আহতদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথিমধ্যে সোহানের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় সোহানের পিতা সিরাজ উদ্দিন বাদী হয়ে দিদার আলীকে প্রধান আসামী করে ১৬ জনের বিরুদ্ধে জগন্নাথপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
দিদাসহ ৩ জনের গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট র্যাব-৯ এর মিডিয়া অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ মশিহুর রহমান সোহেল।
Leave a Reply