আশাহীদ আলী আশা:: নবীগঞ্জ উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সৈয়দপুর বাজারের সিএনজি ষ্ট্যান্ডে দু’গ্রামের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ইউনিয়ন অফিস ঘেরাও প্যানেল চেয়রাম্যানের মটর সাইকেল ও ইউনিয়ন অফিস ভাংচুর করেছে স্থানীয় সিএনজি শ্রমিকরা। এসময় উত্তেজিত শ্রমিকরা ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমানকে অফিসের ভেতরে অবরুদ্ধ করে রাখেন। খবর পেয়ে চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান হারুন অফিসে ছুটে আসলে তাকে অবরোদ্ধ করে রাখা হয়। পুলিশ খবর পেয়ে ইউনিয়ন অফিসে পৌছলে বিক্ষোভকারী শ্রমিকরা পালিয়ে যান। বিক্ষোভবদ্ধ জনতা ইউনিয়ন অফিস ভাংচুরের প্রতিবাদে ও হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে মহসড়ক অবরোধ করে রাখে। মহা সড়কের তীব্র যানযটের সৃষ্টি হয়। পরে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন আনার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে অতিরিক্ত পুলিশ ফোর্স নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। মহা সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে নবীগঞ্জ- বাহুবল থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত সার্কেল এ এসপি পারভেজ আলম চৌধুরী ঘটনা¯’লে ছুটে আসেন। ঘটনার সময় ছবি তুলতে গেলে সাংবাদিকদের ও বাঁধা প্রদান করা হয়। গতকাল রবিবার বিকেল ৩ টায় নবীগঞ্জ উপজেলার সৈয়দপুর বাজারে ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ ও স্থানীয় এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, নবীগঞ্জ উপজেলার সৈয়দপুর বাজার সিএনজি শ্রমিক নেতা চৈতন্যপুর গ্রামের রব্বানী ও আউশকান্দি ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান উমরপুর গ্রামের সাইদুর রহমানের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। উভয়পক্ষের লোকজন রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের প্রস্তু‘তি নিলে নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আজিজুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে। পরিস্থিতি শান্ত হলে ও এলাকায় উভয়পক্ষের লোকজনের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা কর”েছন এলাকাবাসী। এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আজিজুর রহমান বলেন, সৈয়দপুর সিএনজি ষ্ট্যান্ডের দু গ্রামবসাীর লোকজনের মধ্যে ম্যানাজার নিয়ে গত ৩/৪দিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এ ঘটনা উভয় গ্রামবাসীর লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। পুলিশ খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। ইউনিয়ন অফিসে হামলাকারীদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
Leave a Reply