বুলবুল আহমেদ:: হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার বহুল আলোচিত কলেজ ছাত্রী তন্নী রায়কে র্ধষণের পর গলা টিপে হত্যা মামলার আসামী পেমিক রানু রায়কে মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ সিলেটের বিচারক রেজাউল করিম আদালতে এ রায় দেন। পিপি কিশোর কুমার কর আসামিদের র্সবোাচ্চ শাস্তির বিষয়ে আইনগত যুক্তি উপস্থাপন করেন।
আলোচিত এই হত্যকান্ডের এক বছর সাত মাস পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের জননিরাপত্তা বভিাগ র্কতৃক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে হবিগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে সিলেটে দ্রুত বচিার ট্রাইব্যুনালে মামলাটি স্থানান্তর করা হয়। এরপর ২০ জনের স্বাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।
তন্নী রায়ের বাবা বিমল রায় জানান, আমার মেয়ে তন্নীকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আসামী মৃত্যুদন্ড দেওয়ায় আমরা সন্তুষ্ট। তবে রায় দ্রুত কার্যকর করার জোর দািব জানান তিনি। যাতে করে তার এমন শাস্তি দেখে দেশে খুন, র্ধষন ও নানা অপরাধমূক কর্মকান্ড কমে।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর বেলা দেড়টার দিকে তন্নী রায় নবীগঞ্জ শহরতলীর বাংলা টাউনে ইউ.কে আই সিটি কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বেড় হয়ে আর বাসায় ফিরে আসেনি। এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন তন্নী রায় এর বাবা। সাধারণ ডায়েরী করার ৩ দিনের মাথায় কলেজ ছাত্রী তন্নী রায়ের বস্তাবন্দি লাশ নদী থেকে উদ্ধার করে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ। তন্নীর লাশ উদ্ধার এবং মামলা দায়েরের পর থেকেই পুলিশ ঘটনাস্থল এবং তন্নীর কথিত প্রেমিক রানু রায়ের বাড়িসহ আশপাশের সম্ভাব্য ঘরবাড়িতে তল্লাশী চালায়।
নবীগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে মামলার অগ্রগতি না আসলে মামলাটি হবিগঞ্জ ডিবি পুলিশের কাছে প্রেরণ করা হয়।্এদিকে তন্নী হত্যা মামলার প্রধান আসামী রানু রায়কে গ্রেফতার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবীতে একের পর এক মানববন্ধন করে আসছিল বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক সংগঠন। এরই জের ধরে তন্নী রায় হত্যাকান্ডের ২০ দিনের মাথায় ৭ অক্টোবর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশের তৎকালীন ওসি মোঃ আজমিরুজ্জামানের নেতৃত্বে একদল সাদা পোশাকে ডিবি পুলিশ বিকাল বেলা বি-বাড়িয়া বাস স্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।
পরে ৮ অক্টোবর শনিবার দুপুরে হবিগঞ্জের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিশাত সুলতানার আদালতে ঘাতক রানু ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে। এবং তন্নী হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করে।হত্যার কারণ হিসেবে রানু রায় স্বীকারোক্তিতে বলে তন্নীর সাথে দীর্ঘদিন ধরে রানু রায়ের প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। ওই বছর ১৭ সেপ্টেম্বর শনিবার প্রেমিক রানু রায়ের ডাকে সাড়া দিয়ে তন্নী ইউ.কে আই সিটি কোচিং সেন্টারে যাবে বলে বাসা থেকে বের হয়ে রানু রায়ের বাড়িতে যায়।
যাওয়ার পর তন্নীর সাথে একাদিক ছেলের সম্পর্ক আছে এই বিষয়ে রানু তন্নীকে ওই সব ছেলেদের সাথে কথা বলা বন্ধ করার জন্য বলে। তখন এক পর্যায়ে রানুর সাথে তন্নীর ঝগড়া সৃষ্টি হয়। এ সময় রানু রায় তন্নীকে আঘাত করে। এরপর তন্নীর গলায় রানু চেপে ধরলে এক পর্যায়ে ঘটনাস্থলে সে মারা যায়। ২০১৬ সালে ১৯ ডিসেম্বর তন্নী হত্যা মামলায় রানু রায়কে একক আসামী করে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেছে হবিগঞ্জ ডিবি পুলিশ।
Leave a Reply