নবীগঞ্জে চুরি ও মারামারি মামলার আসামী গ্রেফতার

নবীগঞ্জ  সংবাদদাতা ॥  নবীগঞ্জ   উপজেলার   ৮নং   সদর   ইউনিয়নের পূর্ব   জাহিদপুর   গ্রামের   রহমত   আলীকে   গ্রেফতার   করেছে   থানাপুলিশ।   জানা   যায়,   গতকাল   শুক্রবার   বিকেলে   নবীগঞ্জ   শহরের   শেরপুররোডস্থ মা হোটেলের সামন থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নবীগঞ্জথানার   সাব-ইন্সপেক্টর   এস.এম   ফিরোজ   আহমেদের   নেতৃত্বে   একদলপুলিশ   মারামারি   মামলার   অন্যতম   আসামী   পূর্ব   জাহিদপুরগ্রামের মৃত- ইসমাইল মিয়ার পুত্র রহমত আলীকে গ্রেফতার করে।
গত২ সেপ্টেম্বর একই গ্রামের মৃত- কাছম আলীর পুত্র মোঃ ফজলু মিয়ামারামারি, চুরি, প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে বাদী হয়ে রহমত আলী, উম্মেদমিয়ার পুত্র সেকুল মিয়া, আলাউদ্দিনের পুত্র রাসেল মিয়া ও সিজিলমিয়া এবং সুমন মিয়া, মৃত- ইসমাইল মিয়ার পুত্র উম্মেদ মিয়া,মহিবুল   মিয়ার   পুত্র   সাইদুল   মিয়া,   রহমত   আলীর   পুত্র   কামরুলমিয়াসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৫/৬ জনের বিরুদ্ধে নবীগঞ্জ থানায় একটিমামলা দায়ের করেন। সাব-ইন্সপেক্টর এস.এম ফিরোজ আহমেদের  সাথেযোগাযোগ  করা   হলে   গ্রেফতারের   বিষয়টি   তিনি নিশ্চিত করেন।
উল্লেখ্য,   গত   ২৮   আগষ্ট   বুধবার   দিবাগত   রাতে   রহমতের   নেতৃত্বে একদল লোক দেশীয় দাড়ালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ফজলু মিয়ার গোয়ালঘরের নিকটবর্তী জানালা দিয়ে ফজলু মিয়ার ঘরে  প্রবেশ করে। এসময় প্রায় আধাঘন্টা ব্যাপী তা-ব চালায় রহমত মিয়ার লোকজন।তখন   ফজলু   মিয়াকে   ঘুমন্ত   অবস্থায়   দাড়ালো   অস্ত্র   দিয়ে   কুপিয়েক্ষতবিক্ষত   করে   রহমতের   লোকজন।   এ   সময়   পরিবারের   অন্যান্য  লোকজনশব্দশুনে ওই কক্ষে আসলে ফজলু মিয়ার ভাই নজরুল মিয়া (১৮), বোনজুমি আক্তার (২০), রুবি বেগম (২৪), মা আনোয়ারা বেগম (৬৫) কেজখম করে। ওই সময় ফজলু মিয়া আত্মরক্ষায় চিৎকার চেচামেচি করেপালিয়ে বাড়ির পাশ্ববর্তী খাল অতিক্রম করে একটি বাড়িতে আশ্রয়নেয়। ওই সময় রহমতসহ তাঁর লোকজন ঘরের থাকা আসাবাবপত্র ভাংচুরকরে  এবং   আড়াই ভরি স্বর্ণ   নগদ   ৭৫  হাজার   টাকা,  দুটি  স্মাটমোবাইলসহ প্রায় ৩ লক্ষ টাকার মালামাল ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুটকরে নিয়ে যায়।
তখন সাথে সাথে ৯৯৯ ফোন করলে নবীগঞ্জ থানারএসআই  ফিরোজ   ও   এসআই   ফখরুজ্জামান  নেতৃত্বে   একদল   পুলিশঘটনাস্থলে   পৌঁছে   রক্তাক্ত   অবস্থায়   আহত   ফজলু   মিয়াকে   পুলিশেরসহযোগীতায় নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।সেখানে   ফজলুর   অবস্থা   বেঘতিক   দেখে   কর্তব্যরত   চিকিৎসকআশংকাজনক অবস্থায় তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজহাসপাতালে প্রেরণ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ জাতীয় আরো খবর..

ফেসবুকে আমরা