গতকাল শুক্রবার রাতে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুক আলীর নেতৃত্বে এসআই সুমনসহ একদল পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে মাধবপুর থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করেন।
পুলিশ সূত্রে জানাযায়,নবীগঞ্জ উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের প্রতাব দাশের পুত্র রতন দাশ (২০) কে তার টমটমসহ গত-২৪/১২/২০২৩ ইং তারিখে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার সময় নবীগঞ্জ শহর থেকে এক জন ছিনতাইকারী যাত্রী সেজে ৮০ টাকা ভাড়ায় রিজার্ভ নেয়।
ছিনতাইকারী চক্রের বাকি সদস্যরা অবস্থান নেয় নবীগঞ্জ উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের এনাতাবাদ গ্রামের ভিতরের একটি রাস্তার নির্জন স্থানে।
চালক রতনকেকে কৌশলে সেখানে নিয়ে হাত-পা বেঁধে মুখে কস্ট্রেপ বেঁধে টমটম গাড়ী ও চালকের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন সহ ছিনতাই করে নিয়ে চলে যায় তারা। এ ঘটনায় রতন দাশ বাদী হয়ে নবীগঞ্জ থানায় মামলা করেন।
থানার এসআই সুমন মিয়া মামলা তদন্ত ভার গ্রহণ করেন। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় এবং গোপন সূত্রের ভিত্তিতে ইং ২৩/০২/২০২৪ইং তারিখে সন্ধ্যায় ছিনতাই চক্রের সদস্য আসামী খাইরুল আহমদকে গ্রেফতার করেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার রহস্যের জট খুলতে থাকে।
গ্রেফতারকৃত আসামীর দেয়া তথ্য মতে নবীগঞ্জ উপজেলার অফিসার ইনচার্জ এর নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করে একে একে ছিনতাই চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।
ছিনতাই হওয়া টমটমটি ইতিমধ্যে আসামীরা মাধবপুর থানা এলাকায় তাদের আরেক সহযোগীর নিকট বিক্রি করে ফেলে। নবীগঞ্জ থানা পুলিশ গ্রেফতারকৃত আসামীকে নিয়ে শুক্রবার রাতে মাধবপুর থানার ধর্মঘর ইউনিয়নের রাজেন্দ্রপুর গ্রামে অভিযান করে টমটম গাড়ীটি তাদের সহযোগী ইব্রাহিম খলিল এর হেফাজত হতে উদ্ধার করেন ।
প্রায় এক সপ্তাহ পূর্বে উক্ত চক্রের আরেক সহযোগীকে গ্রেফতার করে চালকের ছিনতাই যাওয়া মোবাইলটি উদ্ধার করা হয়। আসামীরা ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য। তারা ঘটনার কথা স্বীকার করেছে। উক্ত ছিনতাই চক্রটি গ্রেফতার হওয়ায় জনমনে স্বস্তি এসেছে।
নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা( ওসি) মাসুক আলী গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,আসামীরা সবাই ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য। তারা ঘটনার জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তাদেরকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
Leave a Reply