নবীগঞ্জ সংবাদদাতা::নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের শতক সৈয়দাবাদ গ্রামে এক বাড়ীতে ডাকাতিকালে এক ডাকাতসহ তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে আরো ৪ ডাকাত সদস্যকে উত্তম মধ্যম দিয়ে স্থানীয় লোকজন থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন। ডাকাতি চলাকালীন সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাড়ীর গৃহকতৃ করিমুনেচ্ছা (৬৫) কে কুপিয়ে রক্তাক্ত যখম করলে ও এক ডাকাতকে তিনি আটক করতে সক্ষম হন। গুরুতর আহত অবস্থায় করিমুনেচ্ছা কে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। স্থানীয় সুত্রে জানাযায়, উপজেলার শতক সৈয়দাবাদ গ্রামের রুপ মিয়ার বাড়ীতে গত বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে ৫ জনের একদল সংঘবদ্ধ ডাকাতদল বাড়ীতে হানা দেয়। তারা ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে পরিবারের লোকজনকে ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ডাকাতি শুরু করে। এ সময় নগদ টাকা ও দামী মোবাইল ফোন হাতিয়ে নেয়ার সময় করিমুনেচ্ছা তার ছেলেদের নিয়ে জীবন বাজি রেখে একই এলাকার শতক গ্রামের মফিজ আলীর পুত্র রুয়েল আহমদ (৩৫) কে আটক করেন।
এ সময় ডাকাত রুয়েল পালিয়ে যাওয়ার জন্য করিমুনেচ্ছাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্বক জখম করে। তবে শত চেষ্টা করে ও ডাকাত রুয়েল পালিয়ে যেতে পারেনি। তখন বাড়ীর লোকজনের আর্তচিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা গ্রামের মসজিদের মাইকে ঘোষনা দিলে গ্রামের শত শত মানুষ লাটিসোটা নিয়ে ডাকাতদের ধাওয়া করলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। পরে ভোর বেলায় এলাকার লোকজন ধৃত রুয়েল কে উত্তম দিলে সে এক পর্যায়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ইমদাদুর রহমান মুকুল, ইউপি সদস্য নুরু মিয়াসহ এলাকার গন্যমান্য লোকজনের সামনে সে পালিয়ে যাওয়া তার সহযোগী অন্যান্য ডাকাতদের নাম ও ঘটনার বিবরন বর্ণনা করলে তাৎক্ষনিক স্থানীয় লোকজন শতক বড়ইতলা গ্রামের কিতেন্দ্র দেবের পুত্র কৃষœ দেব (২৮), শতক খামারগাও গ্রামের ছাও মিয়ার পুত্র ছায়েদ মিয়া (৩৫), একই গ্রামের মৃত এরশার উল্লাহর পুত্র আবুল কালাম (৪৫), শতক গ্রামের আবুল হোসেনের পুত্র ছায়েদ আহমদ (২৭) কে আটক করে নিয়ে আসেন।
খবর পেয়ে গোপলার বাজার তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ কাউছার আলম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌছলে স্থানীয় লোকজন আটককৃত ডাকাতদের পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।
এলাকাবাসী জানান, ধৃত ডাকাতরা এলাকার চিহ্নিত মাদকসেবী। তারা মরন নেশা ইয়াবাসহ নানা মাদক সেবন করে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ইমদাদুর রহমান মুকুল ডাকাতির ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন তাদের পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।
গোপলার বাজার তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ কাউছার আলম জানান, চুরি করার সময় বাড়ীর লোকজন ১জন কে আটক করে। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আরো ৪জন কে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
Leave a Reply