মামলায় তিনি অভিযোগ করেন- “আসামী জিয়া উদ্দিনের সহিত বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে জুবায়েল আহমেদের মনোমালিন্য ও বিরোধ চলে আসছে। নিম্ন তপশীল বর্ণিত ভূমি জুবায়েল আহমেদের পৈত্রিক সম্পত্তি। উক্ত ভূমিতে তিনি চাষাবাদ করতে গেলেই বিভিন্ন সময় আসামী জিয়া ও তাহার সহযোগিরা বিভিন্ন প্রকার বাধা বিঘ্ন সৃষ্টি করে।
সম্প্রতি আসামী ও তার সহযোগিরা নিম্ন তপশীল বর্নিত ভূমিতে জুবায়েলের লোকজন চাষাবাদ করতে গেলে দুই লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। এ ব্যাপারে জুবায়েল এলাকার ময়-মুরুব্বীয়ানকে বিষয়টি অবহিত করলে আসামী তাহার প্রতি ক্ষিপ্ত আমাদেরকে জানে মালে ক্ষতিগ্রস্ত করার হীন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকে।
এদিকে গত ১৪ সেপ্টেম্বর শনিবার, সকাল অনুমান ১০ টার সময় জুবায়েল আহমেদ তার ভূমি দেখতে গেলে সেখানে পূর্ব থেকে উৎ পেতে থাকা উল্লেখিত আসামী ও অজ্ঞাত নামা আসামীরাজুবায়েলকে চারদিক হতে ঘিরিয়া ধরে। তখন আসামী জিয়া উদ্দিন তাহার হাতে থাকা রামদা জুবায়েলের গলায় ধরিয়া হুমকী দিয়া বলে এই জমি ভোগ দখল করতে বা চাষাবাদ করতে চাইলে আমাকে দুই লক্ষ টাকা চাঁদা দিতে হইবে। অন্যথায় এখানে আসিলে তোকে খুন করিয়া লাশ গুম করিয়া ফেলবো।। এইরূপ হুমকী শুনে সেনহত বিহবল হয়ে পড়েন। আসামীকে কোনরূপ চাঁদা প্রদান করতে পারবে না বলিলে আসামীর সঙ্গে থাকা অজ্ঞাত আসামীরা জুবায়েলকে কিল, ঘুষি মেরে আহত করে।
এ সময় জুবায়েল প্রাণ রক্ষার্থে শোর চিৎকার করলে আশপাশ হতে লোকজন আগাইয়া আসিয়া দূর্দান্ত আসামীর কবল হতে তাকে প্রাণে রক্ষা করেন।
জুবায়েল আহমেদ এ প্রতিনিধিকে জানান,
জিয়া উদ্দিন দূর্দান্ত লোক। দাঙ্গাবাজ, লাঠিয়াল, সন্ত্রাসী।, চাঁদাবাজ। স্থানীয় লোকজন এ সময় ঘটনা স্থলে না আসলে আমাকে নিশ্চিত খুন করে ফেলতো।
এই সময় আসামী তাকে হুমকী দিয়ে বলে গেছে ভবিষ্যতে কোন দিন আমি ময়-মুরুব্বীয়ানের নিকট বিচার চাইলে বা মামলা মোকদ্দমা করলে আমাকে খুন করে লাশ গুম করে ফেলবে।
Leave a Reply