নবীগঞ্জে দু’পক্ষের সংঘর্ষে হামলায় নিহত সোহানের দাফন সম্পন্ন

নিজামুল ইসলাম চৌধুরী ::নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ বাজারে সংঘর্ষ ও পরবর্তী দূর্বৃত্তদের হামলার ঘটনায়  নিহত সোহান আহমেদ (২৫) এর নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্ত হয়। এরপর স্বজনরা লাশ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসেন।
বিকেল সাড়ে ৫টায় নিহত সোহানকে নিয়ে লাশবাহী এম্বুলেন্স ইনাতগঞ্জের নোয়াগাঁও নিজ গ্রামে এসে পৌছলে মা,বাবা,সদ্য বিবাহিত স্ত্রী,আত্মাীয়স্বজনদের কান্নায় আকাশ ভারী হয়ে উঠে।  স্বজনদের কান্নায় কাঁদলেন পাড়া প্রতিবেশীরাও।
রাত ৮টায় ইনাতগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নামাজে জানাজা শেষে গ্রাম্য কবরস্থানে তাকে চির নিদ্রায় শায়িত করা হয়।
এদিকে মঙ্গলবার রাতে জগন্নাথপুর থানার পুলিশ আসামী গ্রেফতারে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করেছে। তবে হত্যাকারী কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এ গটনায় এখনও মামলা হয়নি।
উল্লেখ্য, গত সোমবার সন্ধায় ইনাতগঞ্জ বাজারে  তুচ্ছ ঘটনায় দু’পক্ষের ধাওয়া- পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে একজন নিহত ও ৩জন আহত হোন। হাসপাতালে নেয়ার পর রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নোয়াগাঁও গ্রামের সিরাজ উদ্দিনের ছেলে সোহান আহমদ (২৩)। নিহত সোহান   গত এক মাস পূর্বে সৌদি আরব থেকে দেশে আসেন। ১০ দিন আগে তিনি একই উপজেলার পাঞ্জারাই গ্রামে বিয়ে করেছিলেন। পারিবারিক সূত্র জানায় নিহত সোহান ও তার স্ত্রী লন্ডনে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছিল। হাতে মেহেদী দাগ মুছে যাওয়ার আগেই চলে যেথে হল না ফেরার দেশে।
অপর আহত সোহানের চাচাতো ভাই সৌদি আরব প্রবাসী নুর আলমের পুত্র মোসাদ্দেক আলম(২৪) এর অবস্থা আশংকাজনক। ছুরিকাঘাতে তার একটি কিডনি ক্ষতবিক্ষত হয়েছে। বর্তমানে সে ওসমানী হাসপাতালে আইসিইউতে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। অন্য আহতরা আশংকামুক্ত।
স্থানীয়রা জানান, ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের উমরপুর গ্রামের মৃত গিয়াস উদ্দিনের পুত্র নুরকাছ ও তার সহযোগীদে সাথে নিহত সোহানের  তুচ্চ বিষয় নিয়ে বাকবিতণ্ডা ও মারামারি হয়। এক পর্যায়ে সোহান মারামারিতে টিকে থাকতে না পেরে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে নুরকাছ ও তার সহযোগীরা সোহানকে ইনাতগঞ্জ বাজারের গলিতে ফেলে প্রকাশ্যো দাড়ালো ছুরি দিয়ে আঘাত করে শরীরের বিভিন্ন অংশ ক্ষত বিক্ষত করে। এক পর্যায়ে সোহান মাটিতে লুটিয় পড়লে নুরকাছ গ্যাস ভর্তি সিলিন্ডার দিয়ে সজোরে সোহানের বুকে আঘাত করে। এরপরই তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়। সোহানকে বাঁচাতে অপর দুজন এগিয়ে আসলে তাদেরকে ছুরিকাত করা হয়। এ সময় প্রায় দুশতাধীক মানুষ নীরব দর্শকের মতো দাঁড়িয়ে দৃশ্য অবলোকন করেন। কেউ আবার ফেসবুকে লাইভ করছিলেন। কেউ এগিয়ে আসেনি।
জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন,হত্যাকান্ডের ঘটনায় থানায় এখনও মামলা হয়নি। তবে আসামী গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।

নবীগঞ্জ থানার ওসি কামাল হোসেন পিপিএম বলেন,ভৌগলিক কারনে নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জের কিছু অংশ জগন্নাথপুর থানার আওতাধীন। যে স্থানে হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে ইনাতগঞ্জ বাজার মদিনা মার্কেটে হলেও সে স্থান জগন্নাথপুর থানার অন্তর্ভুক্ত। তিনি বলেন খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ জাতীয় আরো খবর..

ফেসবুকে আমরা