আলী জাবেদ মান্না, স্টাফ রিপোর্টার: হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে আবুল হোসেন খাঁন (২২) নামের ধর্ষণ মামলার এক পলাতক আসামিকে গ্রেফতার করেছে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ। (৯ এপ্রিল) এপ্রিল বিকেল ৪টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নবীগঞ্জ থানার এস আই দূর্গা এর নেতৃত্বে নবীগঞ্জ উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের সুজাপুর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আবুল হোসেন খাঁন নবীগঞ্জ পৌরসভার। ৯নং ওয়ার্ড পূর্ব তিমির পুর গ্রামের আবুল কালাম খাঁনের ছেলে। মামলার এজাহার ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, নবীগঞ্জ পৌর এলাকার পূর্ব-তিমিরপুর শাখা-বরাক নদীর পারের বাসিন্দা মোঃ লকন মিয়ার কিশোরী মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিক ধর্ষণের অভিযোগ আবুল হোসেনের উপর। মামলার বিবরণে আরো জানা গেছে, প্রায় ২ বছর ধরে জনৈক কিশোরী মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলো আবুল হোসেন খান। তবে তার প্রস্তাবে মেয়েটি কোনোভাবেই রাজি হয়নি। এ ঘটনার দিন কিশোরী মেয়ের পরিবারের লোকজন তাদের এক অসুস্থ আত্মীয়কে দেখতে যান। বাড়িতে শুধু ধর্ষণের শিকার ওই মেয়েটি ছিল। পুর্বের পরিচয়ের সুবাধে রাতের আধাঁরকে কাজে লাগাতে মনের বাসনা পূর্ন করতে আসে অভিযুক্ত যুবক। দরজার সামনে এসে ডাক দিলে পরিচিত গলার শব্দ শুনে মেয়েটি ঘরের দরজা খুলে দেয়া মাত্রই এই যুবক ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ করে। এতে করে ওই মেয়েটি মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। পর্যায়ক্রমে বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়। এ নিয়ে হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল (৩), মামলা ও করেছেন ভুক্তভোগী মেয়ের দিনমজুর অসহায় পিতা। মামলায় অভিযুক্ত করা হয় একই গ্রামের আবুল কালামের পুত্র আবুল হোসেন খান (২২),কে। ২০২১ সালের জুন মাসে আদালতে মামলা দায়ের করা হলে তদন্তের দায়িত্ব পায় পিবিআই। প্রায় ১০ মাসপর গত বৃহস্পতিবার ( ২২ জুলাই) রাত ১ ঘটিকা ৪১মিনিটে অন্তঃসত্ত্বা এই কিশোরী এক মৃত কন্যা সন্তান প্রসব করে। ঘটনার খবর পেয়ে পিবিআই (হবিগঞ্জ) এর নির্দেশে মৃত নবজাতকের ময়নাতদন্ত করা হয় হবিগঞ্জ মর্গে।
নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ডালিম আহমেদ গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এতো দিন পালিয়ে ছিলেন আবুল হোসেন খাঁন। শনিবার গোপন তথ্যের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। রোববার (১০ এপ্রিল) সকালে তাকে হবিগঞ্জ আদালতে পাঠানো হবে।
Leave a Reply