নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি ॥ হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্য সামগ্রী কিনতে একেক বাজারে একেক দাম নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে ক্ষোভ ও সমালোচনা দেখা দিচ্ছে। যে পন্য মুলত বিক্রি হবার কথা ২০ টাকা ওই পন্য বাজার বদল হলেই দ্বিগুন দাম নির্ধান করে রেখেছেন এক শ্রেনীর অসাধু ব্যবসায়ীরা। এক দিকে যেমন বাড়তি ফাঁয়দা হাসিল করছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা, অন্যদিকে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে ক্রয় করায় হতাশাসহ ক্ষোভ প্রকাশ করছেন সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার লোকজন।
সুত্রে জানা যায়, উপজেলায় ছোট বড় প্রায় ১৫/২০টি বাজার রয়েছে। এ সব বাজারে উপজেলার প্রায় সাড়ে ৪শ গ্রামের কয়েক লক্ষ লোকজন বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যসামগ্রী ক্রয় করেন। কিন্তু পন্যসামগ্রী ক্রয়ে একেক বাজারে একেক দাম নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত ক্রেতাদের মনে বিরাজ করছে ক্ষোভ ও হতাশা। উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের আয়াত আলী হতাশা মনে নিয়ে বলেন, তিনি স্থানীয় কামারগাঁও বাজার থেকে এক কেজি আলু ক্রয় করেন ২৫ টাকা দিয়ে। আর একই আলু আউশকান্দি বাজারে ব্যবসায়ীরা বিক্রি করছেন ৩০ টাকা।
তিনি দুই কেজি পেঁপে স্থানীয় সৈয়দপুর বাজার থেকে ক্রয় করেন ৬০ টাকা দিয়ে। আর এই একই পেঁপে নবীগঞ্জ বাজারে ক্রয় করতে চাইলে ব্যবসায়ী তার কাছে কেজি প্রতি ৪০ টাকা চায়। উপজেলার ছোট ভাকৈর গ্রামের আবির হাসান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, তিনি এক কেজি দেশী ছোট আমড়া স্থানীয় কাজীগঞ্জ বাজার থেকে কিনেছেন ২০ টাকা দিয়ে কিন্তু নবীগঞ্জ বাজারে কাঁচামাল ব্যবসায়ীর কাছ থেকে আমড়া কিনতে চাইলে প্রতি কেজি ৪০ টাকা দিয়ে কিনতে হয়।
উপজেলার দেবপাড়া ইউনিয়নের ফুটারচর গ্রামের হারুন মিয়া জানান, তিনি একটি দেশী কুমড়া স্থানীয় গোপলার বাজার থেকে ক্রয় করেন ৩০ টাকা দিয়ে, একই সাইজের কুমড়া আউশকান্দি বাজার থেকে ক্রয় করেছেন ৫০ টাকা দিয়ে। জনসাধারনের নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্যসামগ্রী আলু, কুমড়া, আমড়া, কাছা মরিছ, শশা, মুলা, গাজর, পুঁইশাক, টমেটো, লেবুসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্যসামগ্রী একেক বাজারে একেক দাম নিয়ে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার লোকজনদের মনে ক্ষোভ ও হতাশা রয়েছে দীর্ঘদিন যাবত।
ভুক্তভোগী ও সমাজের বিভিন্ন শ্রেনী পেশা লোকজনদের দাবি এ সব বিষয়ে প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট লোকেরা অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে তদারকি ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করলে তাহা রোধ করা সম্ভব। নতুবা দিনদিন তাহা ব্যাপক ভাবে আরো বাড়তে থাকবে।
Leave a Reply