নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ)থেকেঃ
নবীগঞ্জে পল্লী বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারনে ফুসে উঠেছে ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক,সামাজিক ও সুশীল সমাজের
নের্তৃবৃন্দ। পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগের ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের বিরুদ্ধে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন ব্যবসায়ীসহ নবীগঞ্জ শহরে যুবসমাজ ও
ভুক্তভোগী সাধারন মানুষ। পল্লী বিদ্যুতের অসহনীয় লোডশেডিংয়ে অতিষ্ট হয়ে পড়েছেন নবীগঞ্জ উপজেলার সাধারন মানুষ। এই আছে, এই নেই, বিদ্যুতের এমন খেলা শুধু একদিনের নয়,এই চিত্র প্রতিদিনের। পূর্ব কোন নোটিশ ছাড়াই সারা দিন বিদ্যুৎ বিহীন থাকতে হচ্ছে নবীগঞ্জ
উপজেলার শহরসহ বিভিন্ন গ্রাম এলাকার মানুষদের। শহরে লোডশেডিং কম সময় থাকলেও গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ ভুগান্তি চরম আকার ধারন করেছে। ঘন ঘন লোডশেডিং চরম দূর্ভোগে ফেলেছে সাধারণ মানুষকে। স্কুল
কলেজ পড়–য়া ছাত্র-ছাত্রীদের লেখা পড়ায় মারাত্বক বিঘœ ঘটছে। এখন প্রায় প্রতিদিনই বিদ্যুতের লোডশেডিং ও ভেলকীবাজিতে অতিষ্ট
শহরবাসী। গড়ে ৩/৪ ঘন্টা বাদে বাকী সময় বিদ্যুৎ না থাকায় কলকারখানা,ব্যবসা বানিজ্যে মারাত্মক স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। বিদ্যুৎ বিহীন শহওে যেন ভুতরে পরিবেশের সৃষ্টি হচ্ছে। একদিকে অসহনীয়
গরম,অপর দিকে বিদ্যুৎ না থাকায় সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। সাধারণ মানুষের মতে কোন উন্নয়নশীল দেশে এ রকম লোডশেডিং নজীরবিহীন। লোডশেডিংয়ের কোন নিয়ম নীতির বালাই নেই নবীগঞ্জের পল্লীবিদ্যুত সমিতির । অনেক গ্রাহক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নির্দিষ্ট সময়ে লোডশেডিং হলে আমরা পূর্ব থেকে প্রস্তুত থাকতে পারি। এ অবস্থায় লোডশেডিং চলতে থাকলে বিদ্যুৎ সংযোগ না
থাকাই ভালো। লোডশেডিং চরম আকার ধারণ করার ফলে বিপাকে পরেছেন
সাংবাদিক, ব্যবসায়ী,স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী সহ সাধারণ মানুষ। ব্যবসায়ীদের ব্যবসা কার্য্যক্রমে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ মারাত্মকভাবে
ব্যাহত হচ্ছে। যার ফলে লোকসান গুনতে হচ্ছে প্রতি মাসে। তাছাড়া বিদ্যুৎ বিহীন নিয়মিত পড়াশোনা করতে পারছেন না স্কুল কলেজের ছাত্র-
ছাত্রীরা। সামান্য বৃষ্টি ও বাতাসের আভাস পেতে না পেতেই পল্লীবিদ্যুত
কর্তৃপক্ষ বিদ্যুত সার্ভিস বন্ধ করে দেয় যার ফলে সাধারন মানুষদের
পড়তে হয় বাড়তি যন্ত্রণায়। অফিসে ১০/১৫ বার ফোন করার পর রিসিভ
করলেও প্রতিদিনই থাকছে কোন না কোন সমস্যা বা অজুহাত। সাধারণ
মানুষ মনে করেন, এই ধরণের সমস্যার জন্য কতিপয় অসাধু
কর্মকর্তারাই দায়ী। নতুন সংযোগ নিতে গেলে দালালদের খপ্পড়ে পড়ে
হয়রানীর শিকার হতে হয় জনগণকে। এছাড়া ধর্নাট্য,রাজনৈতিক
প্রভাবশালী নেতা বা আমলাদের নিকট লক্ষ লক্ষ টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া
থাকলেও বিদ্যুৎ বিভাগ কার্যত কোন ব্যবস্থা নিতে পারছে না। কিন্ত
গ্রামীন জনপদের হতদরিদ্র লোকদের এক বা একের অধিক সামান্য টাকার
বিদ্যুৎ বিল বকেয়া হলেই ভোগান্তির শেষ নেই। বাড়ি বাড়ি গিয়ে
সংযোগ বিচ্ছিন্ন,অথবা জরিমানাসহ বিল আদায় করতে দেখা যাচ্ছে।
অপর দিকে বিদ্যুৎ বিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের অনিয়ম,ঘুষ ও
র্দুনীতির কারনে সাধারণ গ্রাহকদের চরম হয়রানির শিকার হতে হয় বলেও
অভিযোগ রয়েছে। অনেকেই মনে করছেন কোন কোন কর্মচারী ৮/১০ বছর যাবত একই জায়গা নবীগঞ্জে চাকুরী করার সুবাধে অনেকেই দুর্নীতির সাথে জড়িয়ে পড়ছেন এবং গ্রাহকদের সাথে অসদাচারন করছেন। এদিকে চলতি ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের ফলে নবীগঞ্জের
ব্যবসায়ী যুব সমাজ ও সাধারন মানুষ পল্লীবিদ্যুতের ঘন ঘন
লোডসেডিংয়ের কারনে ফুসে উঠে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
আলাপকালে ভুক্তভোগীরা জানান,নবীগঞ্জে কোন কারন ছাড়াই দিনেরাতে অসংখ্যবার বিদ্যুত নিলেও এ ব্যাপারে জনপ্রতিনিধিদের নিরব ভুমিকাজনমনে প্রশ্নবিদ্ধ ! তাই নবীগঞ্জে পল্লী বিদ্যুতের ঘন ঘন
লোডশেডিংয়ের বিষয়টি দ্রুত সুরাহা করার জন্য নবীগঞ্জ-বাহুবল আসনের সংসদ সদস্য,উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানসহ জনপ্রতিনিধিদের
দৃষ্টি আর্কষণ করছেন সকল ভুক্তভোগী জনসাধারন।
Leave a Reply