আশাহীদ আলী আশা:: নবীগঞ্জ পৌর এলাকায় তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি শাহ সোহান আহমেদ মুসাকে গ্রেফতার করতে গিয়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নবীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) উত্তম কুমার ও এসআই ফখরুজ্জামান আহত হওয়ার ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। এসআই ফিরোজ বাদী হয়ে মুছাসহ ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ৭-৮ জনকে আসামী করে নবীগঞ্জ থানায় পুলিশ এসল্ট মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা রেকর্ড হওয়ার পর তদন্তের দায়িত্ব প্রদান করা হয় এসআই সামছুল ইসলামকে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে ছাত্রলীগ নেতা মুসার মা শামছুন্নাহার, বোন মৌসুমী আক্তার, তান্নি আক্তার ও শাম্মি আক্তারকে আটক করেছে। তবে রাতভর অভিযান চালিয়েও মুসাকে আটক করা যায়নি। এদিক শুক্রবার রাত ১ টার দিকে নবীগঞ্জ থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে ছালামতপুর এলাকার একটি মৎস্য ফিশারি থেকে আহমদ মিয়া (২৫) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে। সে উপজেলার ছালামতপুর গ্রামের বুদন মিয়ার পুত্র। সে পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার এজাহারভূক্ত আসামী। এ সময় মুছার বাড়ি থেকে একটি প্রাইভেট কার ও একটি মটর সাইকেল জব্দ করা হয়। হামলার ঘটনায় এজাহারভুক্ত মুছার মা ৩ বোনসহ গ্রেফতার করা হলো ৫ জনকে।
নবীগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন জানান,দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় জড়িত থাকায় আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাধ করা হয়েছে। শীর্ষ সন্ত্রাসী মুছাকে গ্রেফতারে রাতভর চিরুনী অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ। মুছাকে ধরতে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য,গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মুছা ও তার সঙ্গীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন গাড়ীর লোকজনকে আটকিয়ে চাঁদার জন্য মারপিট করে । খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানা থেকে ওসি (তদন্ত) উত্তম কুমার দাশের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এসময় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পুলিশের উপর হামলা চালায় মুছা ও তার সহযোগিরা। হামলায় গুরুতর আহত ওসি (তদন্ত) উত্তম কুমার দাশকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ ও এসআই ফখরুজ্জানকে নবীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
Leave a Reply