স্টাফ রিপোর্টার:: নবীগঞ্জের প্রত্যন্ত অঞ্চলের পল্লী এলাকায় এক কৃষককে ধান ব্যবসার প্রলোভন দেখিয়ে সহজ সরল কৃষকের নিকট থেকে প্রতারণা ফাঁদ ফেতে ৪ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এক প্রতারক৷ এঘটনায় সামাজিক বিচার পঞ্চায়েত অমান্য করে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের সাথে প্রতারণার গুরুতর অভিযোগের প্রেক্ষিতে নবীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রতারণার শিকার কৃষক মঞ্জুর আলী নামের ব্যক্তি৷
অভিযোগে উল্লেখ ও প্রতারণার শিকার মঞ্জুর আলী জানান, নবীগঞ্জ উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের পাঞ্জারাই গ্রামের তাজ উদ্দীনের পুত্র ও বহুল আলোচিত সমালোচিত মইনুল ইসলাম নামের ব্যক্তি ২০১৯ সালের ২০সেপ্টেম্বর ধান ব্যবসার প্রলোভন দেখিয়ে একই ইউনিয়নের গুমগুমিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল মতলিব মিয়ার পুত্র
মঞ্জুর আলীর নিকট থেকে ৪ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন তিনি৷
এর পরথেকে টাকা দেই দিচ্ছি বলে কৃষক মঞ্জুর আলীর সাথে সময়নকাল ক্ষাপণ করে ও প্রতারণা করেন৷ এঘটনায় প্রতারণা ও হয়র্নীর শিকার মঞ্জুর আলী স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের নিকট একাধিকবার সামাজিকভাবে বিচারপ্রার্থী হন৷ একপর্যায়ে গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর উভয় পক্ষকে নোটিশের মাধ্যমে ইউপি চেয়ারম্যান ছাইম উদ্দীনের কার্যালয়ে সামাজিক বিচারের মুখোমুখি করিলে অভিযুক্ত মইনূল ইসলাম উপস্থিত চেয়ারম্যান সহ সামাজিক সালিশ বিচারকদের সামনে ৪লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার কথা স্বীকার করেন মইনুল, তবে টাকা পরিশোধের কয়েকটি তারিখ করেও টাকা উদ্ধার হয়নি মইনুলের নিকট থেকে৷ যার
ফলে চেয়ারম্যান ছাইম উদ্দিন একটি সালিশ নামায় উক্ত ৪ লক্ষ টাকা মইনুলের নিকট পাওনার কথা তাঁর স্বাক্ষরিত একটি সালিশ নামায় উল্লেখ করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রতারণার শিকার মঞ্জুরকে আইনী পরামর্শ দেন৷ এরই প্রেক্ষিতে প্রতারক মইনুল ইসলামের বিরুদ্ধে নবীগঞ্জ থানায় গতকাল রাতে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মঞ্জুর আলী৷
এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি মোঃ আজিজুর রহমান এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন অভিযোগ পেয়েছি ,তদন্ত অনুযায়ী প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে৷
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার সচেতন মহলের অনেকেই বলেন অভিযুক্ত মইনুল হোসেন সে এলাকায় বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত, তার বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই,তাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিকট প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জোরদাবী জানিয়েছেন অনেকেই৷
Leave a Reply