উত্তম কুমার পাল হিমেল নবীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ নবীগঞ্জের পল্লীতে বিয়ে অনুষ্ঠানের সব আয়োজন শেষ হলেও বিয়ে হয়নি। প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেল রুমি নামের ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরী। নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদ বিন-হাসান এর নির্দেশে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মীর তারিন বাশার লিমা বিয়ের আয়োজন ভন্ডুল করে দেন।
শুক্রবার (১৬ মার্চ) সকালে নবীগঞ্জ উপজেলার কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়নের পুরানগাঁও গ্রামের ফরিদ মিয়ার বাড়িতে এ ঘটনাটি ঘটে। আত্মীয়-স্বজনকে নিমন্ত্রণসহ ভুড়ি ভোজের যাবতীয় আয়োজন সম্পন্ন করেছিল ঐ কিশোরীর পরিবার। ফরিদ মিয়ার বাড়িতে শুধু বানিয়াচং উপজেলার বরইউরি গ্রাম থেকে বর ও তাদের লোকজন আসার অপেক্ষায়।
ইতিমধ্যেই বাৃৃল্যবিয়ের খবর স্থানীয় আনসার ভিডিবির টিম লিডার কুলসুমা বেগম মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মীর তারিন বাশার লিমাকে জানান। আর এ খবর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদ বিন-হাসান জানালে তিনি খোঁজ খবর নিয়ে সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত করে বাল্য বিয়য়ে বন্ধ করার নির্দেশ দেন মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মীর তারিন বাশার লিমা জানান, ইউএনও স্যারের নির্দেশে শুক্রবার সকালে বিয়ে বাড়িতে হাজির হই। সেখানে গিয়ে দেখি বাল্য বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা চলছিল। পরে তিনি কনের বাবা-মা এবং পরিবারের সকলকে বাল্য বিয়ের কুফল সম্পর্কে অবহিত করলে তারা মেয়ের বিয়ে ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত দিবে না বলে ওয়াদা করেন এবং মেয়ের বাল্য বিয়ে বন্ধ করে দেন। এসময় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামসহ এলাকার সচেতন লোকজন সহযোগিতা করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদ বিন-হাসান বাল্য বিয়ে ভন্ডুলের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাটি অবগত হওয়ার পর মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে পাঠিয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তারা এ কাজ থেকে বিরত থাকার অঙ্গীকার করেছে।
Leave a Reply