আলী জাবেদ মান্না, নবীগঞ্জ প্রতিনিধি :নবীগঞ্জে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে মোঃ দিলবার হোসেন (২৮) নামের এক ব্যক্তি নিহত এবং কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে গুরুতর আহত ৪ জনকে আশংখ্যাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্যান্যদের নবীগঞ্জ মৌলভীবাজারসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। পুলিশ নবীগঞ্জ হাসপাতালে মৃতের ছুরতহাল তৈরী করে ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করেছে। জানা যায়, উপজেলার দেবপাড়া ইউনিয়নের কালাভরপুর গ্রামের মাঠে গত ৩/৪ দিন পূর্বে অনুষ্টিত ফুটবল খেলায় ওই গ্রামের শহীদ মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া (২০) ও একই গ্রামের মৃত আকল মিয়ার ছেলে নবেল মিয়ার মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে সুমন মিয়া আহত হয়। এ ব্যাপারে সুমনের ভাই দেলোয়ার হোসেন (দিলবার) গত শনিবার বিকালে নবেল মিয়ার মায়ের নিকট বিচার দেয়। এ সময় সুমন উত্তেজিত হয়ে কিছু গালমন্দ করেন। এতে উভয়ের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে তাৎক্ষনিকভাবে স্থানীয় লোকজন পরিস্থিতি শান্ত করেন। এর জেরে গতকাল রোববার (২৩ মে) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে নবেল মিয়া, তার ভাই আলফাজ মিয়া ও বেলাল মিয়াসহ ৭/৮ জনের একদল লোক সুমন মিয়াকে স্থানীয় সারং বাজারে ধাওয়া করলে সুমন আত্মরক্ষার্থে দৌঁড়ে বাড়িতে যায়। এ সময় উভয়পক্ষই হাকডাক দিলে বের হয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষেও ঘটনা ঘটে। এতে দেলোয়ার হোসেন দিলবারসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়। স্থানীয় লোকজন জ্ঞান শূন্য অবস্থায় দেলোয়ারসহ অপর আহতদের নবীগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দেলোয়ারকে মৃত ঘোষণা করেন। অপর আহত শহিদ মিয়ার পুত্র ও মৃতের ভাই রিপন রিপন মিয়া(৩০), বাছিত মিয়া (৪০), আব্দুল বারিকের ছেলে আব্দুল হামিদ (৩২), আবুল কালাম (৪৫)কে সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে গুরুতর অবস্থায় প্রেরণ করা হয়েছে।এরমধ্যে একজনের অবস্থা আশংখ্যা জনক বলে জানা গেছে। আহতদের মধ্যে আব্দুল মুমিন (৩১), সুমন মিয়া (২২), গিয়াস উদ্দিন (২৩), আলফাজ মিয়া (৩০), নবেল মিয়া (২২) বেলাল মিয়া (২৪)সহ অন্যান্য আহতদের নবীগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে , মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম ও এসআই অমিতাভ তালুকদারের নেতৃত্বে একদল পুলিশ হাসপাতাল উপস্থিত হয়ে মৃতের ছুরতহাল তৈরী করে লাশ থানায় নিয়ে আসেন। সোমবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করার কথা রয়েছে। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন মামলা দায়েরের খবর পাওয়া যায়নি।
Leave a Reply