সংবাদদাতা:কুশিয়ারা নদীর পানি গতকাল বুধবার ৫৫ সেন্টমিটার থেকে নেমে ৫৪ সেন্টমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছ। ২৪ ঘন্টায় পানি ১ পয়েন্ট কমেছে। বৃষ্টি না হওয়ায় বন্যার পানি কমতে শুরু করলেও বাড়ি ঘর ও অধিকাংশ রাস্তা ঘাট এখনো পানির নীচে তলিয়ে আছে। উপজেলার দীঘলবা, ইনাতগঞ্জ ও আউশকান্দি ইউনিয়নের প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। ইনাতগঞ্জ ও দীঘলবাক উচ্চ বিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে খুলে দেয়া হয় বানবাসী মানুষের জন্য। আবার অনেকেই পরিবার নিয়ে চলে গেছেন আত্মীয়স্বজনদের বাড়ীতে।কুশিয়ারা ডাইক ভেঙে পানি প্রবেশ করায় ৩টি হাওরের ফসল তলিয়ে গেছে।
প্রায় ২০টি স্কুল ও মাদ্রাসায় পানি প্রবেশ করেছে। ভয়াবহ এ বন্যায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন অসংখ্য পরিবার। বিশেষ করে বৃদ্ধা , শিশু ও গর্ভবতি মায়েরা পোহাচ্ছেন নানা দুর্ভোগ।মোস্তফাপুর গ্রামের আব্দুর রহমান জানান,তার ঘরের ভেতর পানি। রান্নার করার কোন ব্যাবস্থা না থাকায় ঘরে চুলা জলছেনা। টয়লেট করারও কোন ব্যবস্থা নাই।
জেলা উপজেলা প্রশাসন বন্যার্থ মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রেখেছেন। গতকাল বুধবার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৪ টন চাল বানবাসী মানুষের মধ্যে বিতরন করা হয়েছে। সরকারের পাশাপাশি বিত্তবান লোকদের ও বানবাসী মানুষের পাশে দাড়ানোর আহবান জানিয়েছেন দীঘলবাক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ এওলা মিয়া। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদ- বিন হাসান জানান,গতকালের চেয়ে পানি কমেছে। বন্যার্থ মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত আছে। হবিগঞ্জ জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী এম,এল সৈকত জানান, কুশিয়ার নদীর পানি কমে বর্তমানে ৫৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছ। বৃষ্টি না হলে পানি দৃুত কমে আসবে।
Leave a Reply